যশোরের অভয়নগরে নওয়াপাড়া পৌর শাখা কৃষক দলের সভাপতি এস এম তরিকুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার ঘটনায় গ্রামের অন্তত ২০টি বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় ওই নেতার মৃত্যুর বিষয়টি ছড়িয়ে পড়লে অভিযুক্তের বাড়িসহ আশপাশের বাড়িতে আগুন দেয় উত্তেজিত জনতা। নিহত তরিকুল ইসলাম উপজেলার ধোপাদী গ্রামের মৃত ইব্রাহিম সরদারের ছেলে। শুক্রবার (২৩ মে) আছরের নামাজের পর ধোপাদী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। জানাজায় যশোর জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার টিএস আইয়ুবসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
Advertisement
জানা গেছে, তরিকুল হত্যাকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা পার হলেও পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো মামলা করা হয়নি। তবে ওই এলাকার সন্দেহভাজন দুই যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হেফাজতে নিয়ে গেছে পুলিশ।
অভয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আলীম বলেন, নিহত তরিকুল ইসলামের ময়নাতদন্তের পর শুক্রবার বিকেলে ধোপাদী গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ডহরমশিয়াহাটী গ্রাম থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেহভাজন দুই যুবককে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম পরিচয় জানানো যাচ্ছে না।
ওসি আরও বলেন, নিহত তরিকুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। তবে হত্যার রহস্য ও খুনিদের আটকে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। সুন্দলী ইউনিয়নের পরিস্থিতি ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে।
Advertisement
এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের ডহরমশিয়াহাটী গ্রামে বেড়েধা এলাকায় পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িতে যান তরিকুল ইসলাম ও তার এক সহযোগী সুমন। সেখানে মৎস্যঘেরের জমি সংক্রান্ত চুক্তিপত্র স্বাক্ষরের বিষয়ে পিন্টু বিশ্বাসের সঙ্গে তরিকুলের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে অজ্ঞাতপরিচয় ৬-৭ জন দুর্বৃত্ত বাড়ির ভেতরে ঢুকে তরিকুল ইসলামকে কুপিয়ে ও গুলি করে পালিয়ে যায়।
কৃষক দল নেতার মৃত্যুরে খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতে উত্তেজিত জনতা পিন্টু বিশ্বাসের বাড়িসহ আশপাশের প্রায় ২০টি বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
মিলন রহমান/এমএন/এএসএম
Advertisement