রাজধানীতে ছোট-বড় বাজারের পাশাপাশি সড়ক, অলিগলি, ফুটপাতে ভ্যানে করে আম বিক্রি জমে উঠেছে। বিভিন্ন জেলা শহর থেকে আসা নানান জাতের আম হাতের নাগালে পাচ্ছেন ক্রেতারা। মান ও আকারভেদে এসব আম বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১৫০ টাকায়।
Advertisement
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) রাজধানীর মিরপুর ১২ ও ১১ নাম্বারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র। রাজধানীর অন্যান্য এলাকার ফুটপাত, অলিগলিতে ভ্যানে করে আম বিক্রি করছেন বিক্রেতারা।
ভ্যানে হিমসাগর, ল্যাংড়া, গুটি, গোপাল ভোগ, গোবিন্দভোগ, আশ্বিনি, হাঁড়িভাঙ্গা জাতের আম পাওয়া যাচ্ছে।
মিরপুর ১২ নাম্বারে মোল্লা মার্কেট সংলগ্ন রাস্তার মুখে ভ্যান নিয়ে বসেছেন মামুন মিয়া। অন্য সময় শাক বিক্রি করতেন ভ্যানে। তবে গরমের এ সময়টায় আম কাঁঠাল বিক্রি করেন তিনি।
Advertisement
মামুন মিয়া বলেন, এসব আম গাছ পাকা। সাভারের বিরুলিয়া থেকে নিয়ে এসেছি। দাম বেশি হলেও মানুষ কিনছে, যারা ভালো আম চেনেন তারা দাম দিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। জানালেন ১৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন আম।
আরও পড়ুন প্রাণ-এর আম সংগ্রহ শুরু ২৮ মে প্রথমবারের মতো চীনে ৫০ মেট্রিক টন আম রপ্তানি হচ্ছে এক সপ্তাহের মধ্যেই বাজারে আসছে চাঁপাইনবাবগঞ্জের আম১০০ গজ দূরেই আরেকটি ভ্যানে হিমসাগর ও ল্যাংড়া আম বিক্রি করছিলেন সজীব আহমেদ। অন্য সময় ভ্যানে খেঁজুর বিক্রি করেন তিনি। ল্যাংড়া ১০০ টাকা আর হিমসাগর ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে তাকে।
এই বিক্রেতা বলেন, ভ্যানে আম বিক্রিতে কষ্ট কম। শাক সবজিতে লাভ কম, পরিশ্রম বেশি। পরিষ্কার করতে হয়, পানি দিতে হয়, কাটাকাটির ঝামেলা বেশি। এ জন্য আমের সিজনে ভ্যানে আম বিক্রি বেশি হয়। ওই সড়কে আরও ৪-৫ টি ভ্যানে আম বিক্রি করতে দেখা যায় বেশ কয়েকজনকে।
মিরপুর ১১ নাম্বার কাঁচাবাজার সড়কেও ভ্যানে করে, রাস্তার পাশে খোলা কেরেটে (প্লাস্টিকের বক্স) করে আম বিক্রি করতে দেখা যায় অনেককে। ছুটির দিনে নানান বয়সি ক্রেতাদের এসব ভ্রাম্যমাণ দোকান থেকে আম কিনতে দেখা গেছে। কোন কোন ক্রেতা বলছেন বাজার থেকে ৫-১০ টাকা কমে এখানে মিলছে আম।
Advertisement
বিল্লাল হোসেন নামে এক ক্রেতা বলেন, এই হকাররা আমাদের পরিচিত। অন্য সময়ে তাদের কাছ থেকে শাক-সবজি নেওয়া হয়। এখন তাদের থেকে আম কিনি। বাজার থেকে দামও কিছুটা কম রাখেন তারা।
তিনি বলেন, বাজারে মাঝারি আকারের হিমসাগর বিক্রি হয় ১০০-১২০ টাকায়। যেখানে ভ্যানে এগুলোর দাম ৮০-৯০ টাকা। মান একই, দাম কিছুটা বেশি রাখে দোকানে।
ভ্রাম্যমাণ বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ভ্যানে ২০-২৫ কেজি আম বিক্রি করা যায়। সন্ধ্যার পর বিক্রি ভালো হয়। তাতে বিক্রেতাদের হাজার খানেক টাকা লাভ থাকে। কারও কারও আরও বেশি লাভও হয়।
আরও পড়ুন প্রতিদিন ৬ কোটি টাকার আম বিক্রি হয় যে বাজারে আম ক্যালেন্ডার নিয়ে বিড়ম্বনায় সাতক্ষীরার বাগান মালিকরা রাজশাহীতে আম সংগ্রহ শুরুমিরপুর সাড়ে ১১ নাম্বার বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সড়কে আম বিক্রি করছিলেন মিরাজুল ইসলাম। আমের সিজনের আগে ভ্যানে কলা বিক্রি করতেন তিনি।
তিনি বলেন, এক হিমসাগর নানান ভাবে পৃথক করা হয়। তিন ধরনের আকারে পৃথক করা হয়। স্বাদ, রং, বেশি কিংবা কম পাকা। এ কারণে একই হিমসাগর কোথাও ৮০ টাকা, কোথাও ৯০ তো কোথায় ১২০ টাকা।
কাছেই গাবতলী ফলের আড়ৎ, সাভারের আড়ৎ, কারওয়ান বাজার আছে। অনেক জায়গা থেকে ফল আসছে। ভ্যানে এখন বেচাবিক্রি ভালো।
এসএম/এসএনআর/জিকেএস