আইসিসি বা এসিসির ইভেন্টে যেন এটা অলিখিত নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছিল, গ্রুপপর্বেই মুখোমুখি হবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দল ভারত আর পাকিস্তান। ফলে একই ইভেন্টে দুই-তিনবারও দেখা হওয়ার সুযোগ ছিল দুই দলের। দর্শক চাহিদার কথা বিবেচনা করে এভাবে গ্রুপিং করা হতো।
Advertisement
এমনিতেই রাজনৈতিক বৈরিতায় ভারত-পাকিস্তান দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলে না। ক্রিকেটপ্রেমীদের একমাত্র ভরসা ছিল আইসিসি বা এসিসির ইভেন্ট। সেটাও যেন এবার বন্ধ হতে চলেছে। ২০২৬ সালের আইসিসি পুরুষদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তান শুরুর ধাপেই মুখোমুখি হচ্ছে না—এমনটাই জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম।
পহেলগাম হামলার জেরে সম্প্রতি দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হওয়ায় আইসিসির পরবর্তী বৈশ্বিক ইভেন্টে তাদের এক গ্রুপে না রাখার সম্ভাবনা জোরালো হয়েছে।
ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)-এর এক সূত্র ভারতীয় সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, এই বিষয়টি আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনে আলোচনায় আসবে।
Advertisement
উল্লেখ্য, আইসিসির বার্ষিক সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হবে ১৭ থেকে ২০ জুলাই, সিঙ্গাপুরে। এটি হবে আইসিসির বর্তমান চেয়ারম্যান জয় শাহর প্রথম বার্ষিক সভা, যিনি গত ডিসেম্বরে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
সম্প্রতি বিসিসিআই এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায় ভারতের পক্ষ থেকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য পাকিস্তানে দল পাঠাতে অস্বীকৃতি জানানোয়। পরে একটি সমঝোতা হয়, যাতে বলা হয়—আগামী তিন বছরে দুই দল একে অপরের দেশে না গিয়ে নিরপেক্ষ ভেন্যুতে খেলবে।
এই পরিস্থিতিতে আইসিসির পরবর্তী টুর্নামেন্টে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে এখন অনিশ্চয়তা। এখন কেবল বাকি রইলো নকআউটে মুখোমুখি হওয়ার সম্ভাবনা। সেটি তো হরহামেশা মিলবে না। মানে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ বন্ধ হওয়ারই জোগাড়।
এমএমআর/জিকেএস
Advertisement