খেলাধুলা

‘একাদশ তৈরিতে অদূরদর্শী সিদ্ধান্তই ভুগিয়েছে’

‘একাদশ তৈরিতে অদূরদর্শী সিদ্ধান্তই ভুগিয়েছে’

ক্রিকেটাররা খারাপ খেলেছেন। ভালো খেলার দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষাটাই যেন কম ছিল। জেতার যে দৃঢ় সংকল্প থাকার কথা, সেটাই কম ছিল। যাদের ওপর দল বেশি নির্ভর করেছে- অধিনায়ক লিটন দাস, মিডল অর্ডারে তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী অনিক আর শামীম পাটোয়ারীরা তার কিছু দিতে পারেননি। এর বাইরে ছিল দুই এক্সপ্রেস বোলার শরিফুল ও তানজিম সাকিবের আলগা বোলিং। সে কারণেই ২০৫ রান করেও শেষ রক্ষা হয়নি টাইগারদের।

Advertisement

এর বাইরে লক্ষ্য-পরিকল্পনা আর দল সাজানোয়ও চোখে পড়েছে বড় ধরনের ত্রুটি। দেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ও সিনিয়র কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করেন একাদশ সাজানোয় আরও একটু দূরদর্শী হওয়া উচিত ছিল।

আরব আমিরাতের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে বাংলাদেশের ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে গিয়ে খালেদ মাহমুদ সুজনের মনে হয়েছে, বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের একটি অদূরদর্শী সিদ্ধান্ত আরব আমিরাতকে সিরিজ জিততে সহায়তা করেছে।

সুজনের ব্যাখ্যা, ‘আমি প্ল্যানিং নিয়ে কিছু বলবো না। নিশ্চয়ই স্পেশিফিক প্ল্যানিং ছিল। সেটা নিয়ে আমি কিছু বলতে চাই না। আসলে প্ল্যানিংটা যখন বাস্তবায়িত হয়, তখনই তার স্বার্থকতা। বোঝাই যায় প্ল্যানিংয়ের যথাযথ বাস্তবায়ন ঘটেনি। বাট আমার মনে হয়, আমরা আরব আমিরাতকে নিয়ে তেমন হোম ওয়ার্ক করিনি। দলটির প্রধান দুই ব্যাটিং স্তম্ভ হলেন অধিনায়ক মোহাম্মদ ওয়াসিম আর মিডল অর্ডারে আসিফ খান।’

Advertisement

‘পুরো সিরিজে তাদের চওড়া ব্যাটে ভর করেই জয় পেয়েছে আমিরাত। যেহেতু তারা দুজনই ডানহাতি, তাই তাদের বিপক্ষে একজন বাঁ-হাতি বোলার খেলানো উচিত ছিল। মনে রাখা প্রয়োজন ছিল, আরব আমিরাতের টপ অর্ডারে অধিনায়ক ওয়াসিমই বড় খুঁটি। এ দুই ডানহাতি টপ অর্ডার অনেকদিন ধরে খেলছেন। তাদর অভিজ্ঞতা আছে। উইকেটে সেট হলে তারা বড় শট খেলতে পারেন। বিগ হিট নিতে পারেন। তাদের আটকাতে, তাদের স্বাচ্ছন্দ্য ও সাবলীল ব্যাটিং প্রতিহত করতে অন্তত একজন বাড়তি অ্যাওয়ে স্পিনার রাখা যেত।’

‘আমার মনে হয় তানভিরকে খেলানো উচিত ছিল। তানভিরের মতো একজন বাঁ-হাতি স্পিনার মিসিং ছিল। তাহলে বেটার হতে পারতো। মানছি, তানভির প্রথম ম্যাচে ভালো করেনি; কিন্তু তার নিজের পারফরম্যান্স যেমনই থাকুক না কেন, আমার মনে হয় গেম প্ল্যানে একজন বাঁ-হাতি স্পিনার রাখা যেত। তাতে ওয়াসিম আর আসিফ অবলীলায় ব্যাটিং করতে পারতেন না।’

বলে রাখা ভালো সিরিজে তিন ম্যাচের মধ্যে আরব আমিরাত অধিনায়ক ওয়াসিম দুবার আউট হয়েছেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি পেসার শরিফুলের বলে।

এআরবি/আইএইচএস

Advertisement