খেলাধুলা

একসাথে অনেক রেকর্ড আরব আমিরাতের

একসাথে অনেক রেকর্ড আরব আমিরাতের

স্বপ্নেও কী কখনো কল্পনা করেছিল, আরব আমিরাত বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিততে পারবে? প্রথম ম্যাচ হেরেও তারা যেভাবে ঘূরে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জিতে নিয়েছিল, তা রীতিমত অবিশ্বাস্য। ২০৬ রান তাড়া করে দ্বিতীয় ম্যাচ জয়’ই অবিশ্বাস্য ঘটনা। এরপর তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে তারা হারালো ৭ উইকেটের ব্যবধানে।

Advertisement

সব মিলিয়ে আরব আমিরাতের বৃহস্পতি এখন তুঙ্গে। এই সিরিজ জয়ে বেশ কিছু রেকর্ডও গড়েছে তারা।

১: আইসিসির পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে ক্রিকেটের যে কোনো ফরম্যাটে এই প্রথম কোনো সিরিজ জিতলো আরব আমিরাত। বাংলাদেশের বিপক্ষে ২-১ ব্যবধানে জয়ের আগে ২০২১ সালেও আয়ারল্যান্ডের (তখন পূর্ণ সদস্য ছিল না) বিপক্ষে একই ব্যবধানে সিরিজ জিতেছিল তারা। সেবারও প্রথম ম্যাচ হেরেছিল আরব আমিরাত।

৩: আইসিসির সহযোগি সদস্য দেশগুলোর মধ্যে এ নিয়ে তিনটি দেশের কাছে যে কোনো ফরম্যাটে সিরিজ হারলো বাংলাদেশ। আরব আমিরাত ছাড়াও বাংলাদেশ গত বছর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে ২-১ এবং একই ব্যবধানে ২০১২ সালে হেরেছিল স্কটল্যান্ডের কাছে।

Advertisement

নামিবিয়া একমাত্র দল যারা আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্রের পর আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষে তিন বা তার বেশি ম্যাচের সিরিজ জয় করেছে। তারা ২০২২ এবং ২০২৩ সালে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে জিম্বাবুয়েকে দুবার পরাজিত করেছিল।

৭: বাংলাদেশের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৪ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান হজম করেছিলেন হায়দার আলি। টি-টোয়েন্টিতে যে কোনো পূর্ণ সদস্য দেশের বিপক্ষে সহযোগি সদস্য দেশের বোলারদের মধ্যে পূর্ণ কোটা (৪ ওভার) বোলিং করে সবচেয়ে কমরান হজম করা বোলার এখন হায়দার আলি। এর আগে আইসিসি সহযোগি দেশগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম রান হজম করা বোলার ছিলেন আমির হামজা। ২০১৬ বিশ্বকাপে আফগান এই বোলার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এ কৃতিত্ব গড়েন। তখনও আফগানিস্তান টেস্ট মর্যাদা পায়নি।

আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে মাত্র ৬জন বোলার টি-টোয়েন্টিতে কোটা পূর্ণ করে বোলিং করে ৭ রানের কম হজম করেছিলেন।

১: শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত (আন্তর্জাতিক কিংবা ফ্রাঞ্চাইজি টি-২০) ম্যাচগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম রান হজম করা দ্বিতীয় বোলার হলেন হায়দার আলি। ২০২৬ সালে পিএসএলের এক ম্যাচে এই মাঠে ৭ রান হজম করেছিলেন শহিদ আফ্রিদি।

Advertisement

২০৬: বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ম্যাচে ২০৬ রান তাড়া করে জয় তুলে নেয় আরব আমিরাত। তাদের নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড তো বটেই, আইসিসি পূর্ণ সদস্য কোনো দেশের বিপক্ষে সহযোগি সদস্য দেশগুলোরও সর্বোচ্চ রান তাড়া করার রেকর্ড এটা। এর আগে ২০১৫ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বোচ্চ ১৯১ রান তাড়া করে জিতেছিল আফগানিস্তান।

২: আরব আমিরাত বাংলাদেশের বিপক্ষে ২০৬ রান তাড়া করে জয়ের আগে আইসিসি পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর বিপক্ষে দুইবার ২০০ প্লাস রান করেছিল সহযোগি দেশগুলো। ২০১৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আফগানিস্তান করেছিল ৬ উইকেট হারিয়ে ২০১৫ রান। ২০২৩ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৬ উইকেট হারিয়ে ২১৩ রান করেছিল স্কটল্যান্ড।

৭৮: তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৮ম উইকেট পড়ে যাওয়ার পর বাংলাদেশ তাদের ইনিংসে শেষ ২ উইকেটে যোগ করে ৭৮ রান। টি-টোয়েন্টিতে এর আগে মাত্র তিনটি দল ৮ম উইকেট পড়ার পর এর চেয়ে বেশি রান করেছিল। এছাড়া ৯ম উইকেটে বাংলাদেশ তোলে ৪৪ এবং ১০ম উইকেটে তোলে ৩৪ রান। টি-টোয়েন্টিতে ৯ম ও ১০ম উইকেটে এটাই বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ রানের জুটি।

আইএইচএস/