নোয়াখালীর সেনবাগ থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি মিজানুর রহমানকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) করা হয়েছিল। পরে সমালোচনার মুখে তাকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড (সংযুক্ত) করা হয়েছে।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিকেলে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার (এসপি) কাজী আখতার উল আলম জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, মিজানুর রহমান এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি, এটি আমাদের জানা ছিল না। এটি জানলে তাকে ওসি হিসেবে দ্বায়িত্ব দেওয়া হতো না। পরে বিষয়টি জানতে পেরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়ে তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
এর আগে ২০২৪ সালের ১৮ আগস্ট নোয়াখালীর সেনবাগ থানায় একটি মামলা করেন বিএনপি নেতা নুরনবী বাচ্চু। মামলায় ওসি মিজানুর রহমানকে ১ নম্বর আসামি করা হয়।
Advertisement
মামলায় ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট এবং ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগ করা হয়। তখন সেনবাগ থানার ওসির দায়িত্বে ছিলেন মিজানুর রহমান।
এরপর মামলার আসামি অবস্থায় ভালুকা মডেল থানায় পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশনস) পদে কর্মরত ছিলেন তিনি।
সবশেষ ১৮ মে ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার কাজী আখতার উল আলম সই করা এক আদেশে তাকে কোতোয়ালী মডেল থানায় ওসি হিসেবে বদলি করা হয়। পরদিন সোমবার রাতে ওসি হিসেবে মিজানুর রহমান যোগদান করেন।
বিষয়টি জানাননি হলে মঙ্গলবার সকালে সাতদিনের ছুটি নিয়ে চলে যান মিজানুর রহমান। এ অবস্থায় বিতর্ক এড়াতে তাকে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়।
Advertisement
সেনবাগ থানার বর্তমান ওসি মো. নাজিম উদ্দিন বলেন, ২০১৮ সালের একটি রাজনৈতিক মামলায় ওসি মিজানুর রহমানকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করছেন থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রউফ।
তদন্তকারী কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, মিজানুর রহমান ওই মামলার প্রধান আসামি। আসামিরা কেউই জামিন নেননি।
বক্তব্য জানতে মিজানুর রহমানের মোবাইল একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা হলেও তিনি সাড়া দেননি।
তবে ময়মনসিংহ কোতোয়ালী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, গত সোমবার রাতে ওসি হিসেবে মিজানুর রহমান যোগদান করেন। মঙ্গলবার সকালে তিনি সাতদিনের ছুটিতে যাওয়ার আগেই আমার কাছে চার্জ বুঝিয়ে দিয়ে যান।
কামরুজ্জামান মিন্টু/জেডএইচ/জিকেএস