চীন, আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের মধ্যে একটি অনানুষ্ঠানিক ত্রিপাক্ষিক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক বেইজিংয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবারের (২১ মে) ওই বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর প্রতিনিধিরা ত্রিপক্ষীয় সহযোগিতার অগ্রগতিকে ইতিবাচক বলে উল্লেখ করেন এবং পারস্পরিক কল্যাণের জন্য এর সম্ভাবনাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
Advertisement
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির রাজনৈতিক ব্যুরোর সদস্য ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। পাকিস্তানের উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ ইসহাক দার এবং আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাওলাভি আমির খান মুত্তাকিও বৈঠকে অংশ নেন।
আরও পড়ুন>>
ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে চীনা অস্ত্রের সম্ভার ভারতীয় যুদ্ধবিমান ধ্বংস/ পাকিস্তানকে সাহায্যে স্যাটেলাইট সরিয়েছিল চীন ভারতের হুমকি, পাকিস্তানে বাঁধ নির্মাণে গতি বাড়ানোর ঘোষণা চীনের ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষে বিজয়ী হয়েছে চীন?বৈঠক শেষে ওয়াং ই আলোচনার প্রধান সিদ্ধান্ত ও ভবিষ্যৎ সহযোগিতার দিকগুলো তুলে ধরেন। মূল অগ্রগতি ও সমঝোতার বিষয়গুলো হলো:
Advertisement
> পারস্পরিক আস্থা ও সুসজ্জন প্রতিবেশিত্ব জোরদার: চীন আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের নিজ নিজ বাস্তবতার আলোকে উন্নয়নকেন্দ্রিক পথ অনুসরণের পক্ষে, এবং তাদের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষার প্রতি সমর্থন জানায়।
> সংলাপ কাঠামো আরও কার্যকর করা: চীন-আফগানিস্তান-পাকিস্তান পররাষ্ট্রমন্ত্রী সংলাপকে আরও সক্রিয়ভাবে ব্যবহারের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয় এবং এর ষষ্ঠ দফা বৈঠক শিগগিরই কাবুলে আয়োজনের ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়।
> কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়ন: আফগানিস্তান ও পাকিস্তান পারস্পরিক কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারের আগ্রহ প্রকাশ করে। চীন এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়ে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দেয়।
> বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগ সম্প্রসারণ: চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোরকে আফগানিস্তান পর্যন্ত সম্প্রসারণ এবং আঞ্চলিক সংযুক্তি বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়।
Advertisement
> বাস্তবভিত্তিক সহযোগিতা এগিয়ে নেওয়া: আফগানিস্তানের পুনর্গঠন ও উন্নয়ন, বাণিজ্যিক লেনদেন বৃদ্ধি এবং প্রবৃদ্ধির সক্ষমতা তৈরিতে সহায়তা দেওয়া হবে।
> সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই: তিন দেশই সন্ত্রাসবাদের সব ধরনের রূপের বিরোধিতা করে এবং আইন প্রয়োগ ও নিরাপত্তা সহযোগিতা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তারা বাইরের হস্তক্ষেপ প্রতিরোধেও সতর্ক থাকবে।
> আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা রক্ষা: শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করা হয়, যা অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর উন্নয়ন ও পুনর্জাগরণের জন্য সহায়ক পরিবেশ গড়ে তুলবে।
এই বৈঠকের মাধ্যমে ত্রিপাক্ষিক অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও কার্যকর করার ভিত্তি তৈরি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর কর্মকর্তারা।
সূত্র: শিনহুয়া, ইউএনবিকেএএ/