ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার হাকিমপুর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য খেলাফত বিশ্বাসের ওপর হামলা চালিয়ে হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে। সালিশের নামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করে গণমাধ্যমে বক্তব্য দেওয়ায় তার ওপর এ হামলা চালানো হয় বলে দাবি পরিবারের।
Advertisement
শনিবার (২১ মে) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এসময় গুরুতর আহত ওই ইউপি সদস্যকে স্বজনরা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিতে গেলেও সন্ত্রাসীরা বাধা দেয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একদল সন্ত্রাসী খেলাফত বিশ্বাসকে ঘিরে ধরে হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলার পর তাকে হাসপাতালে নিতে গেলে সন্ত্রাসীরা বাধা দেয় বলেও অভিযোগ স্বজনদের।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার রাতে গোবিন্দপুর গ্রামের মাঠে স্থাপিত একটি সোলার প্যানেল কে বা কারা কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ঘটনাস্থলে কাউকে দেখা না গেলেও স্থানীয় সামাজিক মাতব্বররা সালিশ বৈঠক করে কৃষক আরিফ মণ্ডলকে দায়ী করেন। পুলিশের কাছে কোনো লিখিত অভিযোগ না দিয়েই একতরফাভাবে সালিশ করে আরিফ ও তার পরিবারকে দোষী সাব্যস্ত করা হয় এবং দুই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।
Advertisement
এই অনিয়ম ও একতরফা বিচার নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্যানেল চেয়ারম্যান খেলাফত বিশ্বাস। তিনি বিষয়টি গণমাধ্যমে তুলে ধরেন। এরই জের ধরে তার ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ চাঁদাবাজ চক্রের প্রধান অভিযুক্ত উসমান মণ্ডল ও তার সহযোগীরা এ হামলা চালিয়েছে।
এর আগে গত শুক্রবার একই কারণে উসমান মণ্ডল ও তার সহযোগীরা কৃষক আরিফ মণ্ডল, তার ভাই এবং বৃদ্ধ বাবাকে ধরে নিয়ে গিয়ে হাতুড়ি দিয়ে পেটায়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ওসমান মণ্ডলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।
শৈলকূপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুম খান বলেন, ইউপি সদস্য খেলাফত বিশ্বাসের ঘটনা শুনেছি। তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। পরিবার থেকে অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
শাহজাহান নবীন/এফএ /এমএস