পোশাক রপ্তানিকারকদের আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম নির্বিঘ্ন রাখতে দেশের বন্দরগুলো ২৪ ঘণ্টা চালু রাখার দাবি জানিয়েছেন মালিকরা। অন্যথায়, শ্রমিকের বেতন-বোনাস দেওয়ার দায়-দায়িত্ব তারা নিতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
Advertisement
পোশাক মালিকদের নির্বাচনী প্ল্যাটফর্ম সম্মিলিত পরিষদের সভাপতি ও বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান এ দাবি জানান।
বুধবার (২১ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচনে ২০২৫-২৭ সম্মিলিত পরিষদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান তিনি।
কাজী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘শিল্প নানা ধরনের অভ্যন্তরীণ সমস্যায় রয়েছে। আমরা অত্যন্ত কষ্টে আছি। টিভিতে হেডলাইন দেখতে পাই কোনো কোনো মালিকের গাড়ি বা বাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকের বেতন দেওয়া হচ্ছে। এটা অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, লজ্জার বিষয়। এজন্য একটা সেফ এক্সিট পলিসির কথা বলা হয়েছে। আমরা সেটা করতে চাই।’
Advertisement
ব্যবসায়ী নেতা দাবি করেন, বন্দরে সমস্যার কারণে আমদানি-রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছে। চায়না থেকে ১৪ দিনে রপ্তানিপণ্য চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। কিন্তু তা ঢাকায় আসতে লাগে ১৮ দিন।
আরও পড়ুন মালিকের জমি-বাড়ি বিক্রি করে শ্রমিকের পাওনা পরিশোধের সিদ্ধান্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল ও কারখানায় হামলা হলে ছাড় দেবে না সরকারতিনি বলেন, ‘আজকের এই অনুষ্ঠান থেকে সরকারের কাছে আমাদের দাবি, আপনাদের অনেক ইস্যু আছে, সংস্কার আছে, আপনারা তা করেন। কিন্তু তা আমাদের কবর দিয়ে নয়, শিল্প ধ্বংস করে নয়।’
‘আমি বলতে চাই আজ থেকে ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা রেখে কার্যক্রম চালু রাখতে হবে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম সচল রাখার স্বার্থে। তা না হলে শ্রমিকের বেতন দেওয়ার দায়িত্ব মালিকেরা নিতে পারবে না। আমার রপ্তানি হচ্ছে না, আমদানি হচ্ছে না, আমরা কী দিয়ে বেতন দেবো? কনটেইনার পড়ে থাকে রাস্তায়, কোথা থেকে টাকা পাবো, কোথা থেকে শ্রমিকের বেতন বোনাস দেবো?’ প্রশ্ন করেন মনিরুজ্জামান।
তিনি আরও বলেন, ‘হাত-পা বেঁধে সাঁতার কাটতে বললে আমরা সাঁতার কাটতে পারবো না, সাঁতার কাটতে হলে আমাদের হাত-পা খোলা রাখতে হবে।’
Advertisement
মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন জানান, টিএনজেড ও মাহমুদ গ্রুপের মালিকানাধীন জমি, বাড়ি, ফ্যাক্টরি ও অন্য স্থাবর সম্পত্তি বিক্রি করে তাদের সব শ্রমিকের পাওনা পরিশোধ করা হবে। এ বিষয়ে গ্রুপের কর্তৃপক্ষকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
আইএইচও/এএসএ/জিকেএস