জাতীয়

রেস্তোরাঁয় বসা নিয়ে দ্বন্দ্বে ডেকে কোপায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা

রেস্তোরাঁয় বসা নিয়ে দ্বন্দ্বে ডেকে কোপায় কিশোর গ্যাং সদস্যরা

রাজধানীর হাজারীবাগের ঝিগাতলা এলাকায় পূর্বশত্রুতার জেরে ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষার্থী সামিউর রহমান খান আলভী (২৭) হত্যার ঘটনায় চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ বলছে, গত ১৫ মে সন্ধ্যায় ধানমন্ডি লেকের বাগানবাড়ি এলাকার একটি রেস্তোরাঁয় চেয়ারে বসা নিয়ে বাকবিতাণ্ডা হয়। এ নিয়ে নিহত আলভী ও তার বন্ধুদের সঙ্গে আসামি হাসানসহ কয়েকজনের হাতাহাতি হয়। পরদিন ১৬ মে পূর্বপরিকল্পিতভাবে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটানো হয়। আসামিরা সবাই কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য।

বুধবার (২১ মে) দুপুরে রাজধানী মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম এসব তথ্য জানান।

আরও পড়ুন

Advertisement

রাজধানীতে ছুরিকাঘাতে শিক্ষার্থী নিহত

আলভী হত্যার ঘটনায় জড়িতরা হলেন- মো. রায়হান (২০), মো. হাবিবুর রহমান মুন্না (২৬), সমতি পাল (২৩) ও কাউসার (২১)। গতকাল মঙ্গলবার (২১ মে) ধানমন্ডি ও হাজারীবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

ডিসি মাসুদ আলম বলেন, নিহত সামিউর রহমান খান আলভী হাজারীবাগ থানার মনেশ্বর রোডে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। তিনি ডক্টর মালিকা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন। গত ১৬ মে আলভী তার তিন বন্ধু আশরাফুল ইসলাম, জাকারিয়া এবং ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে ধানমন্ডি লেকপাড়ের একটি রেস্তোরাঁয় অবস্থান করছিলেন। এসময় গ্রেফতাররাসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজন কৌশলে তাদের হাজারীবাগের জিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা আলভী ও তার বন্ধুদের শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরি ও চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আলভীকে মৃত ঘোষণা করেন। আলভীর তিন বন্ধু বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আরও পড়ুন

Advertisement

এক রাতে জিগাতলা-হাজারীবাগে দুই তরুণ খুন, রহস্য উদঘাটন পুলিশের

এ ঘটনায় আলভীর বাবা মশিউর রহমান খানের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাজারীবাগ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

ডিসি মাসুদ আলম জানান, গ্রেফতাররা আলভীকে পূর্বশত্রুতার জেরে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক অন্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

কেআর/এমকেআর/এমএস