ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র হিসেবে ইশরাক হোসেনের শপথের দাবিতে কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন তার সমর্থকরা। এতে সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আশপাশের সড়কেও তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে।
Advertisement
কাকরাইল মোড়ে অবস্থান নিয়ে ইশরাকের সমর্থকদের তাকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া এবং উপদেষ্টা স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগসহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এদিকে কাকরাইলে ইশরাক সমর্থকদের অবস্থান কর্মসূচির কারণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাসভবন যমুনায় যাওয়ার রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবার বিক্ষোভকারীরা যেন যমুনার সামনে যেতে না পারেন সেজন্য সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, প্রতিদিনের মতো বুধবার (২১ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট মিছিল নিয়ে ডিএসসিসির নগর ভবনের সামনে এসে জড়ো হন ইশরাক হোসেনের সমর্থকরা। তাদের আন্দোলনের কারণে নগর ভবনের প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। নগর ভবনে থাকা স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমও বন্ধ।
Advertisement
সকাল ১০টার দিকে ইশরাক হোসেনের সমর্থকদের একটি অংশ মিছিল নিয়ে মৎস্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন। পরে বেলা ১১টার দিকে ইশরাক সমর্থকদের আরেকটি অংশ কাকরাইল মসজিদের সামনের সড়কে তথা যমুনায় পাওয়ার সড়কে অবস্থান নেন।
সেখানে অবস্থান নিয়ে তারা ‘অবিলম্বে ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দাও, দিতে হবে’; ‘দফা এক দাবি এক, আসিফ ও মাহফুজের পদত্যাগ’; ‘আসিফ ভূঁইয়ার কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘শপথ নিয়ে টালবাহানা চলবে না চলবে না’ স্লোগান দেন। দুপুর ২টার দিকে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্তও সেখানে তারা অবস্থান করছিলেন।
কাকরাইলে আন্দোলনে অংশ নেন বংশালের বাসিন্দা মেহেদী হাসান। তিনি বলেন, ‘ইশরাককে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার দাবিটা এখন জাতীয় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিএনপির সব স্তরের নেতারা এই কর্মসূচিতে অবস্থান নিয়েছেন। এ দাবি আদায় না হলে কেউ রাজপথ ছাড়বে না।’
এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক সচিব মশিউর রহমান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০২০ সালের সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে ইশরাক হোসেন বিপুল ভোট পেয়েছিলেন। কিন্তু তৎকালীন নির্বাচন কমিশন ইশরাক হোসেনের পরিবর্তে শেখ ফজলে নূর তাপসকে বিজয়ী ঘোষণা করেন। এখন সেই নির্বাচন বাতিল করে ইশরাক হোসেনকে বিজয়ী করে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। কিন্তু স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইশরাক হোসেনকে শপথ পরাচ্ছে না। এ কারণেই আমরা সড়কে অবস্থান নিয়ে এর প্রতিবাদ জানাচ্ছি, দাবি আদায়ের চেষ্টা করছি।’
Advertisement
এমএমএ/ইএ/জেআইএম