ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা সিরিয়ার ওপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান কায়া কাল্লাস।
Advertisement
ব্রাসেলসে মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ করা এক পোস্টে কাল্লাস বলেন, আমরা সিরিয়ার জনগণকে একটি নতুন, অন্তর্ভুক্তিমূলক এবং শান্তিপূর্ণ সিরিয়া গড়ে তুলতে সহায়তা করতে চাই।
গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দেন সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেবেন। এরপরই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এমন সিদ্ধান্ত নিলো।
কাল্লাস বলেন, গত ১৪ বছর ধরেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার জনগণের পাশে রয়েছে এবং আগামীতেও থাকবে।
Advertisement
তবে বাশার আল-আসাদের সরকার সম্পর্কিত ও নিরাপত্তাজনিত কারণে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।
একই সঙ্গে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আরও কিছু টার্গেটেড নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে, যা মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী এবং সিরিয়ায় অস্থিতিশীলতা উসকে দেওয়া ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর হবে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদ আল-শিবানি এক্স-এ বলেন, ইইউর এই সিদ্ধান্ত সিরিয়ার নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা জোরদার করবে।
পরে সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নতুনভাবে আন্তর্জাতিক সম্পৃক্ততার পথ খুলে দেবে।
Advertisement
এরই মধ্যে ইউরোপীয় ইউনিয়ন জ্বালানি, পরিবহন ও পুনর্গঠন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা এবং সংশ্লিষ্ট আর্থিক লেনদেনের ওপর কিছুটা শিথিলতা এনেছে। তবে কিছু সদস্য রাষ্ট্র মনে করছে, এসব পদক্ষেপ সিরিয়ার রাজনৈতিক রূপান্তর ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের জন্য যথেষ্ট নয়।
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োহান ওয়াডেফুল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিরিয়ার সঙ্গে নতুনভাবে সম্পর্ক শুরু করতে চায়। তবে আমরা আশা করি, দেশটির অভ্যন্তরে এমন একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি গ্রহণ করা হবে যাতে সকল জনগোষ্ঠী ও ধর্মীয় গোষ্ঠী অন্তর্ভুক্ত থাকে।
সূত্র: রয়টার্স
এমএসএম