রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি পৌরসভার মুসলিম ব্লক বাজারে মধ্যরাতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন ২৭ জন ব্যবসায়ী।
Advertisement
মঙ্গলবার (২০ মে) রাত ১টার দিকে ব্যবসায়ী আলমগীরের কাপড়ের দোকান থেকে এই আগুনের সূত্রপাত হয় বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন। ধারণা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের ঘটনা ঘটেছে।
আগুনের সংবাদ পেয়ে ২৭ বিজিবি মারিশ্যা জোনের সদস্যরা এগিয়ে যান। উপজেলায় কোনো ফায়ার স্টেশন না থাকায় স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে পুলিশ ও বিজিবি সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ করেন। দেড় ঘণ্টা পর রাত আড়াইটার দিকে দিঘীনালা ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
আগুনে মুদি, কাপড়, ওষুধ ও চায়ের দোকানসহ মোট ২৫টি দোকান সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে আনুমানিক আড়াই কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের দাবি।
Advertisement
মুসলিম ব্লক বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম জানান, ঘটনার সময় ব্যবসায়ীরা কেউ দোকানে ছিলেন না। ফলে মুহূর্তেই আগুনে সব পুড়ে যায়। এতে ২৫টি দোকানঘর পুড়ে ২৭ জন ব্যবসায়ী ক্ষতিগ্রস্ত হন। এখানে প্রায় আড়াই কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতি হয়েছে।
দিঘীনালা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পঙ্কজ কুমার বড়ুয়া জানান, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। এখানে মোট ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। এতে প্রায় কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির জানান, মধ্যরাতে আগুনের খবর পেয়ে পুলিশ, বিজিবি ও স্থানীয়দের নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। পরবর্তীতে দিঘীনালা থেকে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে যোগ দেয়।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আক্তার জানান, উপজেলার মুসলিম ব্লক বাজারে মধ্যরাতের অগ্নিকাণ্ডে ২৫টি দোকান পুড়ে গেছে। ধারণা করা হচ্ছে এটি বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে ঘটেছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করবো।
Advertisement
উপজেলাবাসীর দাবির মুখে ২০১৮ সালে ফায়ার স্টেশন নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হলেও দীর্ঘ ৭ বছরেও ফায়ার স্টেশন তৈরির কাজ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।
আরমান খান/এফএ/জেআইএম