রাজধানীর বাড্ডার দক্ষিণ আনন্দ নগরে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে বিস্ফোরণের ওই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হলো।
Advertisement
বুধবার (২১ মে) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এফএইচডিইউ) মো. তোফাজ্জল হোসেন (৪৫) নামের ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. শাওন বিন রহমান জানান, বাড্ডার দক্ষিণ আনন্দ নগর এলাকা থেকে শিশুসহ একই দগ্ধ পরিবারের পাঁচজন আমাদের এখানে এসেছে। তাদের মধ্যে আজ ভোর সাড়ে ৫টার দিকে এইচডিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু হয়। তার শরীরের ৮০ শতাংশ দগ্ধ ছিল।
এর আগে তার স্ত্রী মানসুরা (৩৫) ও শিশুকন্যা তানজিলার (৪) মৃত্যু হয়। মিথিলা (৭) ও তানিশা (১১) নামে তোফাজ্জলের আরও দুই শিশুকন্যা এখনো চিকিৎসাধীন। তাদের মধ্যে মিথিলা ৬০ শতাংশ ও তানিশা ৩০ শতাংশ দগ্ধ। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানান এই চিকিৎসক।
Advertisement
আরও পড়ুন
গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ গাজীপুরে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে দগ্ধ পাঁচজনই না ফেরার দেশেএর আগে শুক্রবার (১৬ মে) দিনগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে বিস্ফোরণের দুর্ঘটনা ঘটে। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধরা হলেন- মো. তোফাজ্জল হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী মানসুরা আক্তার (৩৫), তাদের সন্তান তানিশা (১১), মিথিলা (৭) ও তানজিলা (৪)।
দগ্ধদের উদ্ধার হাসপাতালে নিয়ে আসা প্রতিবেশী মো. শরীফ বলেন, বাড্ডার দক্ষিণ আনন্দনগর আনসার ক্যাম্প বাজার এলাকার একটি ভবনের নিচতলায় বসবাস করেন ভুক্তভোগীরা। ১৬ মে দিনগত রাতে গ্যাসলাইনের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হন। পরে তাদের উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, দগ্ধ তোফাজ্জল দিনমজুরের কাজ করতেন। তার গ্রামের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়।
কাজী আল-আমিন/ইএ/এমএস