মতামত

কে আমি, কোথায় আমার স্থান?

কে আমি, কোথায় আমার স্থান?
 

মানুষের অস্তিত্বের মূলে রয়েছে আত্মপরিচয়ের ধারণা। কে আমি, আমার বিশ্বাস কী, আমার মূল্যবোধ কী, সমাজে আমার অবস্থান কোথায়– এই প্রশ্নগুলো মানব জীবনের গভীরতম অন্বেষণের বিষয়। যখন এই অন্বেষণ বাধাপ্রাপ্ত হয়, যখন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী তার নিজস্ব পরিচয় নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হয় অথবা যখন প্রচলিত সামাজিক কাঠামোয় নিজের স্থান খুঁজে পায় না, তখনই সৃষ্টি হয় পরিচয়ের সংকট। এই সংকট কেবল ব্যক্তিগত যন্ত্রণা নয়, বরং এটি সমাজ জীবনে গভীর অস্থিরতা ও সংঘাতের জন্ম দিতে পারে। পরিচয়ের সংকট এবং সামাজিক অস্থিরতা তাই দুটি পরস্পর সংযুক্ত ধারণা যা মানব ইতিহাসের বিভিন্ন পর্বে বারবার পরিলক্ষিত হয়েছে।

Advertisement

পরিচয়ের সংকট মূলত এক ধরনের মানসিক ও মনস্তাত্ত্বিক অবস্থা যেখানে ব্যক্তি তার নিজস্ব সত্তা, লক্ষ্য, এবং সমাজের সাথে তার সম্পর্ক নিয়ে বিভ্রান্তিতে ভোগে। এটি হতে পারে ব্যক্তিগত জীবনে বিভিন্ন পরিবর্তনের ফলে, যেমন কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণ, কর্মজীবনের পরিবর্তন, বা বার্ধক্য। আবার এটি ঘটে যখন ব্যক্তি তার পরিচিত সামাজিক বা সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডল থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে, যেমন অভিবাসন বা দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য থেকে বিচ্যুতি। মনোবিজ্ঞানী এরিক এরিকসন মানব জীবনের বিকাশে পরিচয়ের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন এবং দেখিয়েছেন যে কৈশোরে এই সংকট বিশেষভাবে প্রবল হতে পারে, যেখানে ব্যক্তি তার ভবিষ্যৎ পথ, পেশা, এবং সামাজিক ভূমিকা নির্ধারণ করতে চেষ্টা করে। তবে পরিচয়ের সংকট কেবল কৈশোরের একটি পর্যায় নয়, এটি জীবনের যেকোনো সময়, যেকোনো পরিস্থিতিতে উদ্ভূত হতে পারে, বিশেষ করে যখন সামাজিক, অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিক কাঠামোতে দ্রুত পরিবর্তন আসে।

একইভাবে, ব্যক্তিগত পরিচয়ের সংকট যখন সমষ্টিগত পর্যায়ে রূপ নেয়, তখন তা হয়ে দাঁড়ায় সামাজিক পরিচয়ের সংকট। একটি গোষ্ঠী, জাতি, বা সমাজ যখন তার ঐতিহাসিক ঐতিহ্য, সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ, বা রাজনৈতিক আদর্শের সামঞ্জস্য রক্ষায় ব্যর্থ হয়, তখন সমষ্টিগত পরিচয়ের সংকট দেখা দেয়। বিশ্বায়ন, প্রযুক্তির দ্রুত অগ্রগতি, এবং ভিন্ন সংস্কৃতির সংস্পর্শে আসার ফলে অনেক সমাজ তাদের নিজস্বতা নিয়ে নতুন করে ভাবতে বাধ্য হচ্ছে। ঐতিহ্যবাহী রীতিনীতি ও আধুনিক জীবনযাত্রার মধ্যে সংঘাত, স্থানীয় সংস্কৃতির উপর বৈশ্বিক সংস্কৃতির প্রভাব, এবং জাতীয়তাবাদের নতুন সংজ্ঞা খোঁজা – এ সবই সমষ্টিগত পরিচয়ের সংকটের লক্ষণ। যখন একটি সমাজ বা গোষ্ঠী তাদের ভাগ করা ইতিহাস, ভাষা, ধর্ম, বা সংস্কৃতির ভিত্তিতে নিজেদের সংজ্ঞায়িত করতে ব্যর্থ হয়, তখন তাদের মধ্যে সংহতি কমে যায় এবং বিভেদ স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

পরিচয়ের এই সংকট, তা ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত যাই হোক না কেন, সামাজিক অস্থিরতার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। যখন ব্যক্তি তার সমাজে নিজের স্থান খুঁজে পায় না, যখন সে নিজেকে মূল্যহীন বা প্রান্তিক মনে করে, তখন তার মধ্যে এক ধরনের বিচ্ছিন্নতাবোধ তৈরি হয়। এই বিচ্ছিন্নতাবোধ ক্ষোভ, হতাশা এবং এক ধরনের অর্থহীনতার জন্ম দেয়, যা তাকে প্রচলিত সামাজিক নিয়মকানুন বা কাঠামোর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে প্ররোচিত করতে পারে। যারা নিজেদের পরিচয় নিয়ে অন্ধকারে থাকে বা যাদের পরিচয় সমাজে স্বীকৃত নয়, তারা সহজেই উগ্রপন্থি বা চরমপন্থি গোষ্ঠীর দিকে ঝুঁকে পড়তে পারে। এই গোষ্ঠীগুলো প্রায়শই একটি শক্তিশালী কিন্তু সরলীকৃত পরিচয় প্রদান করে, একটি নির্দিষ্ট "আমরা" বনাম "ওরা" ধারণা তৈরি করে এবং বিদ্যমান সামাজিক সমস্যাগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে দায়ী করে। এটি ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর মধ্যে এক ধরনের নতুন অন্তর্ভুক্তির অনুভূতি তৈরি করে, যা তাদের একতাবদ্ধ করে এবং অনেক সময় সহিংস কার্যকলাপে লিপ্ত হতে উৎসাহিত করে।

Advertisement

সামাজিক অস্থিরতা কেবল ব্যক্তিগত বিচ্ছিন্নতাবোধ থেকেই আসে না, এটি সমষ্টিগত পরিচয়ের সংঘাত থেকেও উদ্ভূত হয়। যখন সমাজে বিভিন্ন গোষ্ঠী নিজেদের পরিচয়কে কেন্দ্র করে একে অপরের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়ায়, তখন তা সংঘাতের জন্ম দেয়। জাতিগত, ধর্মীয়, ভাষাগত বা রাজনৈতিক পরিচয়ের ভিত্তিতে সৃষ্ট বিভেদ যখন তীব্র হয়, তখন তা দাঙ্গা, গৃহযুদ্ধ বা অন্য যেকোনো ধরনের সামাজিক সংঘাতের জন্ম দিতে পারে। যখন একটি গোষ্ঠী মনে করে যে তাদের পরিচয় হুমকির মুখে অথবা তাদের অধিকার বঞ্চিত হচ্ছে, তখন তারা প্রতিরোধের পথ বেছে নিতে পারে। এই প্রতিরোধ কখনো কখনো শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের রূপ নেয়, আবার কখনো সহিংস বিদ্রোহে পর্যবসিত হয়। পৃথিবীর বহু সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে সামাজিক অস্থিরতার মূলে রয়েছে এই ধরনের সমষ্টিগত পরিচয়ের সংকট ও সংঘাত। উদাহরণস্বরূপ, বহু জাতিগোষ্ঠীপূর্ণ দেশগুলোতে যখন একটি নির্দিষ্ট জাতিগোষ্ঠী নিজেদের মূল স্রোত থেকে বিচ্ছিন্ন মনে করে অথবা তাদের ভাষা ও সংস্কৃতি হুমকির মুখে পড়ে, তখন তারা স্বাধিকারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করতে পারে, যা প্রায়শই সামাজিক শান্তি বিঘ্নিত করে।

অর্থনৈতিক বৈষম্যও পরিচয়ের সংকটকে গভীর করে তোলে এবং সামাজিক অস্থিরতা বাড়ায়। যখন একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠী অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়ে অথবা সুযোগের সমতা থেকে বঞ্চিত হয়, তখন এই অর্থনৈতিক বঞ্চনাকে তারা প্রায়শই তাদের পরিচয় (জাতি, ধর্ম, বর্ণ ইত্যাদি) এর সাথে সংযুক্ত করে দেখে। তারা মনে করে যে তাদের পরিচয়ের কারণেই তাদের প্রতি অবিচার করা হচ্ছে। এটি তাদের মধ্যে এক ধরনের ঐতিহাসিক বঞ্চনার অনুভূতি তৈরি করে, যা ক্ষোভ ও অসন্তোষের জন্ম দেয়। এই অসন্তোষ যখন পুঞ্জীভূত হয়, তখন তা সামাজিক অস্থিরতার বিস্ফোরক হিসেবে কাজ করতে পারে। অর্থনৈতিক সংকটের সময়ে পরিচয়ের প্রশ্নটি আরও তীব্র হয়ে ওঠে, কারণ মানুষ যখন জীবিকা নির্বাহের জন্য সংগ্রাম করে, তখন তারা প্রায়শই বলির পাঁঠা খোঁজে এবং ভিন্ন পরিচয়ের লোকদের উপর দোষ চাপানোর প্রবণতা দেখায়।

পরিচয়ের সংকট, তা ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত যাই হোক না কেন, কেবল আত্মজিজ্ঞাসা নয়, এটি সামাজিক সংহতি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। "কে আমি" এবং "কোথায় আমার স্থান" – এই প্রশ্নগুলো যখন সমাজে ব্যাপকভাবে অমীমাংসিত থেকে যায়, তখন তা বিচ্ছিন্নতা, সংঘাত এবং অস্থিরতার জন্ম দেয়।

রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অদক্ষতা বা দূরদৃষ্টির অভাবও পরিচয়ের সংকট ও সামাজিক অস্থিরতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। যখন রাষ্ট্র তার সকল নাগরিককে সমান চোখে দেখে না, যখন একটি নির্দিষ্ট পরিচয়কে অন্য পরিচয়ের উপর প্রাধান্য দেওয়া হয়, অথবা যখন রাজনৈতিক ফায়দা লোটার জন্য পরিচয়ের ভিত্তিতে বিভেদ সৃষ্টি করা হয়, তখন সমাজে অস্থিরতা অনিবার্য হয়ে ওঠে। অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনব্যবস্থা, যেখানে সমাজের সকল স্তরের মানুষের পরিচয় এবং অধিকারের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা হয়, তা পরিচয়ের সংকট নিরসনে এবং সামাজিক সংহতি বজায় রাখতে সহায়ক। এর বিপরীতে, স্বৈরাচারী বা অগণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থায় প্রায়শই ভিন্নমত বা ভিন্ন পরিচয়কে দমন করা হয়, যা মানুষের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবোধ ও অসন্তোষ বাড়িয়ে তোলে এবং পরিণামে সামাজিক অস্থিরতা ডেকে আনে।

Advertisement

গণমাধ্যম এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকাও এই প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ। তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং ভিন্ন সংস্কৃতির সাথে সহজে পরিচিতি অনেক সময় পরিচয়ের ধারণাকে আরও জটিল করে তোলে। একদিকে, এটি মানুষকে তাদের নিজস্ব পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তুলতে এবং নতুন সম্ভাবনা অন্বেষণ করতে উৎসাহিত করে। অন্যদিকে, ভুল তথ্য, বা ঘৃণ্য বক্তব্য এবং echo chamber (ইকো চেম্বার বলতে এমন একটি পরিস্থিতি বোঝায় যেখানে একজন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর বিশ্বাস ও মতামত সমমনা ব্যক্তিদের মাধ্যমে বারবার প্রতিধ্বনিত ও দৃঢ় হয়। এর ফলে তারা ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি বা তথ্যের সংস্পর্শে কম আসে এবং নিজস্ব ধারণা আরও বদ্ধমূল হয়) এর কারণে নির্দিষ্ট কিছু পরিচয়কে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করা হতে পারে, যা বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে দূরত্ব বাড়ায় এবং সংঘাত উস্কে দেয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়শই পরিচয়ের ভিত্তিতে মেরুকরণ ঘটে, যেখানে মানুষ কেবল তাদের সমমনাদের সাথে মিথস্ক্রিয়া করে এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের প্রতি অসহিষ্ণু হয়ে ওঠে। এটি সমাজের মধ্যে বোঝাপড়া এবং সহনশীলতা কমিয়ে দেয়, যা সামাজিক অস্থিরতার পথ প্রশস্ত করে।

পরিচয়ের সংকট এবং এর ফলে উদ্ভূত সামাজিক অস্থিরতা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সমাজের সকল স্তরে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং গঠনমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। শিক্ষা এক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। এমন শিক্ষাব্যবস্থা প্রয়োজন যা শিক্ষার্থীদের নিজেদের ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধ সম্পর্কে জানার পাশাপাশি ভিন্ন সংস্কৃতি ও পরিচয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে শেখায়। সমালোচনামূলক চিন্তাভাবনার বিকাশ ঘটালে শিক্ষার্থীরা সহজে সরলীকৃত বা উগ্রপন্থি পরিচয়ের ফাঁদে পা দেবে না। সমাজে সংলাপ এবং আলোচনার সুযোগ বৃদ্ধি করাও জরুরি, যেখানে বিভিন্ন পরিচয়ের মানুষ খোলাখুলি তাদের ধারণা এবং অনুভূতি বিনিময় করতে পারে। এটি পারস্পরিক বোঝাপড়া বৃদ্ধি করে এবং ভুল ধারণা দূর করতে সাহায্য করে।

অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক ও রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি করা পরিচয়ের সংকট নিরসনে অত্যাবশ্যক। রাষ্ট্রকে তার সকল নাগরিকের পরিচয়কে স্বীকৃতি দিতে হবে এবং সকলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে। অর্থনৈতিক বৈষম্য কমানো এবং সমাজের প্রান্তিক গোষ্ঠীগুলোকে মূল স্রোতে নিয়ে আসার প্রচেষ্টা পরিচয়ের ভিত্তিতে সৃষ্ট বঞ্চনার অনুভূতি কমাতে সাহায্য করবে। সংস্কৃতির আদান-প্রদানকে উৎসাহিত করা এবং বহুত্ববাদকে সম্মান জানানোও জরুরি, যাতে ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে সহাবস্থান করতে পারে। সর্বোপরি, এমন একটি সামাজিক পরিবেশ তৈরি করা প্রয়োজন যেখানে মানুষ নির্ভয়ে তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে পারে এবং তাদের স্থান নিয়ে শঙ্কিত না হয়।

পরিচয়ের সংকট, তা ব্যক্তিগত বা সমষ্টিগত যাই হোক না কেন, কেবল আত্মজিজ্ঞাসা নয়, এটি সামাজিক সংহতি ও স্থিতিশীলতার জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। "কে আমি" এবং "কোথায় আমার স্থান" – এই প্রশ্নগুলো যখন সমাজে ব্যাপকভাবে অমীমাংসিত থেকে যায়, তখন তা বিচ্ছিন্নতা, সংঘাত এবং অস্থিরতার জন্ম দেয়।

বিশ্বায়ন, অর্থনৈতিক পরিবর্তন, এবং রাজনৈতিক মেরুকরণের এই সময়ে পরিচয়ের প্রশ্নটি আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। এই সংকট মোকাবিলা করতে হলে ব্যক্তিগত স্তর-এ মানসিক সুস্থতা এবং আত্ম-অনুসন্ধানকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি সমষ্টিগত পর্যায়ে-এ শিক্ষা, সহনশীলতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতি এবং গঠনমূলক সংলাপের মাধ্যমে সামাজিক ঐক্য পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তবেই আমরা এমন একটি সমাজ গড়তে পারব যেখানে প্রতিটি ব্যক্তি এবং গোষ্ঠী তার নিজস্ব পরিচয় নিয়ে গর্ব করতে পারবে এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের মাধ্যমে নিজেদের স্থান খুঁজে নিতে পারবে।

লেখক: গবেষক ও উন্নয়নকর্মী।

এইচআর/জেআইএম