ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নামে শত শত ভুয়া ফেসবুক আইডিসহ সব সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অবৈধ বিজ্ঞাপন ও প্রচারণা অবিলম্বে বন্ধ করতে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
Advertisement
মঙ্গলবার (২০ মে) ডাক ও রেজিস্ট্রার যোগে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. তারিকুল ইসলাম।
নোটিশে ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের নামে যত ভুয়া ফেসবুক আইডি রয়েছে তা বন্ধ করে ডা. হুমায়ুন কবিরের নামে তার মূল যে আইডিটি বন্ধ তা চালু করার দাবি জানানো হয়েছে।
নোটিশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, জাতীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ফেসবুক এবং ফেসবুকের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভকে বিবাদী করা হয়েছে বলে জানান আইনজীবী মো. তারিকুল ইসলাম।
Advertisement
আরও পড়ুন
ফেসবুকে শত শত ‘নকল পেজে’ বিব্রত ডা. জাহাঙ্গীর কবিরআইনজীবী বলেন, ভেরিফায়েড পেজটি পুনরায় চালু করা, ভুয়া পেজ ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন বন্ধে ব্যবস্থা এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নিতে সরকার ও ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির।
নোটিশ পাঠানোর পর আইনজীবী তারিকুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, ১০০টি আইডি ভুয়া রয়েছে। সেগুলোর বিষয়ে ব্যবস্থা না নিয়ে ভেরিফায়েড আইডি ডিজঅ্যাবল করে দেওয়া হয়েছে। এজন্য জিডিও করা হয়েছে। গত ১২ মে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান বরাবর একটি আবেদনও দেন ডা. জাহাঙ্গীর কবির।
‘ফেসবুক পেজ পুনরুদ্ধার ও ভুয়া পেজ বন্ধ করার আবেদন’ শীর্ষক ওই আবেদনে ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জনস্বাস্থ্য সচেতনতা ও ওষুধমুক্ত জীবনযাপন নিয়ে কাজ করে আসছি। আমার পরিচালিত ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজ যেখানে তিন দশমিক ছয় মিলিয়নের বেশি মানুষ যুক্ত ছিলেন। সেই পেজ গত ২৪ এপ্রিল হঠাৎ বন্ধ করে দেন। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৬ এপ্রিল বাড্ডা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছি। আমার বিশ্বাস, এ পেজের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিক্ষা পেয়ে উপকৃত হচ্ছিলেন।
Advertisement
এদিকে একই নামে বহু ভুয়া পেজ ও বিজ্ঞাপন চালু রয়েছে, যেগুলো আমার নাম-ছবি ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে প্রতারণা করছে। এসব প্রতারকদের কারণে আমার সুনাম ক্ষুণ্ন হচ্ছে এবং মানুষ বিভ্রান্ত হচ্ছে।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির ভেরিফায়েড পেজটি পুনরায় চালু করা, ভুয়া পেজ ও প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপন বন্ধে ব্যবস্থা এবং প্রতারকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিতে বিটিআরসি কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ করেন। তাতে সাড়া না পেয়ে তিনি আইনি নোটিশ দেন।
নোটিশে সাত দিনের মধ্যে ১২ মে দেওয়া আবেদন অনুসারে ব্যবস্থা চেয়েছেন। অন্যথায় তিনি হাইকোর্ট বিভাগে রিট করবেন বলেও নোটিশে উল্লেখ করেন।
এফএইচ/ইএ/এমএএইচ/জেআইএম