স্যাটেলাইটভিত্তিক ইন্টারনেট সেবাদাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় স্টারলিংক। এটি মার্কিন ধনকুবের ইলন মাস্কের মালিকানাধীন স্পেসএক্সের একটি অঙ্গসংস্থা, যা হাজার হাজার স্যাটেলাইটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সেবা দিয়ে চলেছে। এবার বাংলাদেশেও আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে স্টারলিংক।
Advertisement
বিশ্বের যেসব অঞ্চলে অপটিক্যাল ফাইবার পৌঁছানো দুঃসাধ্য, সেখানে খুব সহজেই পৌঁছে যেতে পারে স্যাটেলাইটের তড়িৎচুম্বকীয় তরঙ্গ। আর এর সাহায্যে দুর্গম এলাকাগুলোতেও সহজে পৌঁছানো যায় ইন্টারনেট সেবা। বাংলাদেশের দুর্গম এলাকায় খুব সহজে উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে এর মাধ্যমে।
তবে মূল চিন্তা হচ্ছে স্টারলিংক ব্যবহারে খরচ কত। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেটের সংযোগ নিতে হার্ডওয়্যার ফি হিসেবে এককালীন ৫৯৯ মার্কিন ডলার পরিশোধ করতে হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৭০ হাজার টাকার মতো।
সেখানে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এতো খরচে সবার পক্ষে স্টারলিংক ব্যবহার সহজ হবে না। তবে শুরুতে স্টারলিংক দুটি প্যাকেজ দিয়ে শুরু করছে- স্টার্লিংক রেসিডেন্স এবং রেসিডেন্স লাইট। মাসিক খরচ একটিতে ৬০০০ টাকা, অপরটিতে ৪২০০। সেটাপ যন্ত্রপাতির জন্য ৪৭ হাজার টাকা এককালীন খরচ হবে।
Advertisement
এখানে কোনো স্পীড ও ডাটা লিমিট নেই। ব্যক্তি ৩০০ এম্বিপিএস পর্যন্ত গতির আনলিমিটেড ডাটা ব্যবহার করতে পারবেন। বাংলাদেশের গ্রাহকরা আজ থেকেই অর্ডার করতে পারবেন।
যেসব এলাকায় এখনো ফাইবার কিংবা দ্রুতগতির ইন্টারনেট সেবা পৌঁছেনি, সেখানে কোম্পানিগুলো ব্যবসা সম্প্রসারণ এর সুযোগ পাবেন, এনজিও ফ্রিল্যান্সার এবং উদ্যোক্তারা বছরব্যাপী নিরবিচ্ছিন্ন উচ্চগতির ইন্টারনেটের নিশ্চয়তা পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
আরও পড়ুন ল্যাপটপ স্লো হলে যা করবেন যে ৪ শব্দ গুগলে সার্চ করলে মজার ব্যাপার ঘটবেকেএসকে/জিকেএস
Advertisement