দেশজুড়ে

পাওয়া গেলো যমুনার বেওয়ারিস সেই জাহাজের মালিককে

পাওয়া গেলো যমুনার বেওয়ারিস সেই জাহাজের মালিককে

সিরাজগঞ্জ এনায়েতপুরে যমুনা নদীর তীরে ভেড়ানো সেই বেওয়ারিস জাহাজের মালিকের খোঁজ মিলেছে। ওই বেওয়ারিস জাহাজের মালিক নাসির উদ্দিন। তিনি চট্টগ্রাম জেলার চান্দগাঁও থানার বাসিন্দা।

Advertisement

মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে চৌহালী নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আরিফুল ইসলাম জাগো নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, ওই জাহাজটি প্রকৃত মালিক চান্দগাঁও থানার নাসির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। তিনি এম.টি আনোয়ারা নাসির-২ নামের জাহাজটি মূলত যমুনা রেলসেতু বাস্তবায়নকারী সাব-ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টিএলএনকে ভাড়া দিয়েছিলেন। সেতুর কাজ শেষে ওই কোম্পানি চলে গেছে। কিন্তু যমুনার নাব্য সংকটের কারণে জাহাজটি নদীর পূর্বপাড়ে ভিড়িয়ে রাখা হয়েছিল।

তিনি আরও জানান, ওই জাহাজটি জাহাঙ্গীর নামের এক ব্যক্তি নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে দেখভাল করছিলেন। কিন্তু তিনি অন্য কারও সঙ্গে যুক্ত হয়ে জাহাজটি চুরি করে এনায়েতপুর স্পার বাঁধের প্রায় ৫০০ গজ দক্ষিণ তীরে ভেড়ান। পরবর্তীতে তারা সবার অগোচরে জাহাজের মূল্যবান কিছু অংশ কেটে নিয়ে বিক্রিও করেছেন। আমরা জাহাজটির প্রকৃত মালিক খুঁজছিলাম। এ ঘটনায় নিরাপত্তাকর্মীসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এরইমধ্যে টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানায় মামলা হয়েছে বলে তিনি জানান।

Advertisement

কালিহাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন মামলার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্ত থেকে জাহাজটি চুরির ঘটনায় শনিবার (১৭ মে) রাতে মেসার্স এম নাসির অ্যান্ড কোম্পানির ম্যানেজার সুমন সাহা বাদী হয়ে তিনজনকে আসামি করে চুরি মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা করছেন তারা।

মেসার্স এম নাসির অ্যান্ড কোম্পানির ম্যানেজার সুমন সাহা জানান, গত ১১ মে জাগো নিউজে ‘সিরাজগঞ্জে যমুনার তীরে বেওয়ারিস জাহাজ, মালিককে খুঁজছে পুলিশ’ শিরোনামে একটি সংবাদ আমার নজরে আসে। এরপর মালিকপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি প্রায় ৬০ লাখ টাকার যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গেছে। পরে এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেছি।

তার দাবি পুরাতন ওই টাগবোট নামক জাহাজটির মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা। তাদের কোম্পানির অধীনে ১০ থেকে ১২টি জাহাজ রয়েছে বলে তিনি জানান।

এম এ মালেক/এফএ/জেআইএম

Advertisement