সাম্প্রতিক উত্তেজনা মধ্যেই ভারতের আধিপত্য মেনে নেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী। তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদুলুকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি।
Advertisement
জেনারেল আহমেদ শরিফ বলেন, পাকিস্তান একটি শান্তিপ্রিয় ও দায়িত্বশীল রাষ্ট্র হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় কখনো পিছপা হবে না। ভারত যত দ্রুত এই বাস্তবতা মেনে নেবে, তত দ্রুত দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি ফিরবে ও গোটা বিশ্বের জন্যও তা মঙ্গলজনক হবে।
আইএসপিআর প্রধান বলেন, আমরাই প্রথম বলেছি, হ্যাঁ, আমরা চাই শান্তি। কিন্তু শান্তির অর্থ কখনো মাথা নত করা নয়। ভারত যুক্তরাষ্ট্র নয়, আর পাকিস্তান আফগানিস্তান নয়। ভারত ইসরায়েল নয়, আর পাকিস্তান ফিলিস্তিন নয়। আমাদের বাধা দেওয়া যাবে না, আমাদের ভয় দেখানো যাবে না।
চৌধুরী দাবি করেন, সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও ঘৃণা ভারতের ঘরোয়া সমস্যা। ভারতে সংখ্যালঘু মুসলিম, শিখ ও খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে দমনপীড়ন দিন দিন বাড়ছে, যা থেকে চরমপন্থা জন্ম নিচ্ছে। ভারত সরকার এই অভ্যন্তরীণ অসন্তোষকে চাপা দিতে পাকিস্তানকে ‘বহিঃশত্রু’ বানাচ্ছে, যেন জনগণের দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়া যায়। তিনি বলেন, ভারতের এই প্রবণতা শুধু পাকিস্তানের জন্য নয়, গোটা দক্ষিণ এশিয়ার জন্য বিপজ্জনক।
Advertisement
আইএসপিআর প্রধান জানান, পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ছিল সুনির্দিষ্ট ও শুধু ভারতের সামরিক অবকাঠামোর ওপর সীমাবদ্ধ। কোনো বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়নি। আমাদের জবাব ছিল যথাযথ, ন্যায্য ও ভারসাম্যপূর্ণ।
পাকিস্তানের এই সেনা কর্মকর্তা প্রশ্ন তোলেন, তদন্ত না করে কীভাবে পাকিস্তানকে অভিযুক্ত করা যায়? যদি সত্যিই প্রমাণ থাকে, তা যেন নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক সংস্থাকে দেওয়া হয়। পাকিস্তান আন্তর্জাতিক তদন্তে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
জেনারেল আহমেদ শরিফ আরও দাবি করেন, পাকিস্তানে যেসব সন্ত্রাসী হামলা হচ্ছে, তার নেপথ্যে ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ সক্রিয়ভাবে যুক্ত। বিশেষ করে, নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন টিটিপির (তেহরিক-ই-তালিবান পাকিস্তান) কার্যক্রমে ভারতের মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। সম্প্রতি ঝেলম থেকে গ্রেফতার হওয়া একজন সন্দেহভাজনের স্বীকারোক্তিতে ভারতের প্রশিক্ষণের বিষয় উঠে আসে।
সূত্র: ডন
Advertisement
এসএএইচ