ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন আরজে হিসেবে। এরপর জনপ্রিয়তা পান উপস্থাপনায়। বেশ জনপ্রিয়তা নিয়ে তিনি কাজ করছিলেন। হঠাৎ ডাক আসে সিনেমার। দুই চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে বড় পর্দার জন্য দাঁড়ালেন ক্যামেরার সামনে। তারপর কেটে গেলো অনেক বছর। দিন দিন দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা হয়ে ওঠেন নুসরাত ফারিয়া।
Advertisement
চট্টগ্রামে জন্ম নেওয়া ফারিয়া বেড়ে উঠেছেন ঢাকার ক্যান্টনমেন্টে। ২০২১ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। দাদা ছিলেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। ছোটবেলায় তিনিও হতে চেয়েছিলেন আর্মি অফিসার। কিন্তু জীবন তাকে নিয়ে এসেছে আলো ঝলমলে জগৎ- শোবিজে।
নুসরাত ফারিয়ার মিডিয়ায় পথচলা শুরু হয় আরজে হিসেবে। এরপর আরটিভির ‘ঠিক বলছেন তো’ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে টেলিভিশন পর্দায় উপস্থাপনা শুরু করেন। ২০১২ সালে এনটিভির ‘থার্টিফাস্ট ধামাকা কক্সবাজার’ অনুষ্ঠানে উপস্থাপক হিসেবে নজর কাড়েন। ২০১৩ সালে বলিউড তারকা সুনিধি চৌহানের কনসার্ট উপস্থাপনাও তাকে এনে দেয় ব্যাপক প্রশংসা।
‘লেট নাইট কফি উইথ নুসরাত ফারিয়া’, ‘ক্লিয়ার এসএ লাইভ স্টুডিও’, ‘লাক্স ওয়ার্ল্ড অব গ্ল্যামার’ ও রেডিও ফুর্তির ‘নাইট শিফট উইথ ফারিয়া’- এসব অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি হন টেলিভিশন স্ক্রিনের পরিচিত মুখ।
Advertisement
২০১৫ সালে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা ‘আশিকী’ দিয়ে বড় পর্দায় অভিষেক ফারিয়ার। এই সিনেমার মাধ্যমেই উপস্থাপিকা থেকে পরিণত হন রুপালি পর্দার নায়িকায়। তারপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। দুই বাংলায় একের পর এক সিনেমায় কাজ করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন একজন জনপ্রিয় ও দক্ষ অভিনেত্রী হিসেবে।
উপহার দিয়েছেন ‘হিরো ৪২০’, ‘বাদশা দ্য ডন’, ‘প্রেমী ও প্রেমী’, ‘অপারশেন সুন্দরবন’, ‘বস ২’, ‘বিবাহ অভিযান’ ইত্যাদি সিনেমা। ‘মুজিব’ সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনা ও সমালোচনা দুই’ই যোগ করেন ক্যারিয়ারে।
নায়িকা এবং উপস্থাপনার বাইরেও ফারিয়া জনপ্রিয় মডেল এবং গায়িকা। তিনি ‘ডোর’ ফ্যাশন হাউজের ব্র্যান্ড মডেল হিসেবে কাজ করেন। এছাড়া ফেয়ার অ্যান্ড লাভলি, সিম্ফনি, সিটিসেলসহ বহু বিজ্ঞাপনচিত্রে মডেল হয়েছেন। গানেও রেখেছেন সাড়া জাগানো উপস্থিতি, যা তাকে শোবিজের এক ‘বহুমাত্রিক প্রতিভা’তে রূপ দিয়েছে।
এলআইএ/জিকেএস
Advertisement