অর্থনীতি

ভোগান্তিতে আমদানি-রপ্তানিকারকরা, স্থবির শুল্কায়নসহ সব কার্যক্রম

ভোগান্তিতে আমদানি-রপ্তানিকারকরা, স্থবির শুল্কায়নসহ সব কার্যক্রম

কাস্টমস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কলমবিরতিতে স্থবির হয়ে পড়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস। এতে দেশের বৃহত্তম এই কাস্টমস হাউজে আমদানি ও রফতানি পণ্যের ওপর শুল্কায়নসহ সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। এর ফলে মারাত্মক ভোগান্তিতে পড়েছেন আমদানি-রপ্তানিকারকরা। আমদানি ও রপ্তানিপণ্য মিলে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৭ হাজার বিল অব এন্ট্রি ও বিল অব এক্সপোর্ট দাখিল হয় চট্টগ্রাম কাস্টমসের।

Advertisement

রোববার (১৮ মে) সকাল থেকে কলমবিরতি শুরু করেন কাস্টমস কর্মকর্তারা। এ নিয়ে টানা চতুর্থ দিন চলছে এ কলমবিরতি। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলমান এই ধর্মঘট দেশব্যাপী সব কর অঞ্চল, ভ্যাট এবং কাস্টমস অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পালন করছেন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিলুপ্ত করে জারি করা অধ্যাদেশের প্রতিবাদে কাস্টমস কর্মকর্তারা বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে এ কর্মবিরতি শুরু করেন।

কাস্টমসের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টের প্রতিনিধিরা বলছেন, কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বৃহস্পতিবার শুল্ক পরিশোধ করা সত্ত্বেও রোববার পণ্য খালাসের শুল্ক আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে পারেননি তারা। আবার কাস্টমস ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকার পরে খুললেও পরে ব্যাংক লেনদেন করা যাবে না। এতে পুরো দিনই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ব্যবসায়ীদের। বন্দর সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, কাস্টমসের আমদানি রপ্তানি পণ্যের শুল্কায়ন বিলম্বিত হওযায় বন্দর থেকে পণ্য ডেলিভারি ও জাহাজীকরণও বিলম্বিত হচ্ছে। এতে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছে দেশ।

চট্টগ্রাম কাস্টমস এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক এ এস এম রেজাউল করিম স্বপন বলেন কর্মকর্তাদের কলমবিরতির কারণে সকাল থেকে কোনো ফাইলের কাজ হয়নি। কোনো শুল্কায়ন হয়নি। বিকেল ৩টার পর কাজ শুরু করে সিরিয়ালে ফাইলগুলোর কাজ করলেও আগের ফাইলও রয়ে যাবে।

Advertisement

এমডিআইএইচ/এএমএ/এমএস