দেশের হালকা ও মাঝারি প্রকৌশল খাতের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় শতভাগ পৌঁছে দিতে চলমান প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের উন্নয়ন ও ই-ওয়েস্ট প্রক্রিয়াকরণের সুবিধাদি সৃষ্টি (২য় সংশোধিত) চলমান প্রকল্পের মেয়াদ জুন, ২০২৫ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই প্রকল্প জুন ২০২৪ নাগাদ সমাপ্ত হওয়ার কথা ছিল।
Advertisement
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে এই তথ্য জানা গেছে। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসআইআর) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
বিসিএসআইআর জানায়, দেশের হালকা ও মাঝারি প্রকৌশল খাতের সেবা জনগণের দোরগোড়ায় গৌঁছে দিতে সংস্থাটির চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও জয়পুর ক্যাম্পাসে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং উন্নয়ন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। সাভারে চামড়া গবেষণা কেন্দ্র ও চলমান ‘ই-ম্যাটেরিয়ালস কেন্দ্র’ স্থাপনও প্রকল্পের আওতায় চলমান।
এই প্রকল্পের আওতায় ঢাকা ক্যাম্পাসে ই-ম্যাটেরিয়ালস কেন্দ্র এবং ই-বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হচ্ছে। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিল্পকারখানার মাধ্যমে উৎপাদিত কন্ট্রাকশন ম্যাটেরিয়াল (স্টিল, কনক্রিট, সিমেন্ট ইত্যাদি), লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং সেক্টরের উৎপাদিত পণ্য (স্পেয়ার পার্টস, ইত্যাদি) এবং ইলেকট্রিক্যাল ম্যাটেরিয়ালের (কেবলস, ইনস্যুলেটর ইত্যাদি) মানোন্নয়নের জন্য প্রকল্পটি চলমান। বিশেষায়িত গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা, দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক গবেষণা-শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং যৌথ গবেষণাও প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন হচ্ছে।
Advertisement
চলমান প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৪৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। নতুন করে প্রকল্পের ব্যয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫ কোটি ২৯ লাখ টাকা।
বিসিএসআইআর জানায়, লৌহজাত ঢালাই, ইলেকট্রনিক্স পণ্য, প্রকৌশল যন্ত্র, পরিবাহী তার, মরিচাহীন ইস্পাত সামগ্রীও বিদেশে যাচ্ছে। এসব খাতে অনেক মানুষ জড়িত। তারা কীভাবে আরও উন্নয়ন করতে পারেন, কীভাবে তাদের আরও দক্ষ করে গড়ে তোলা যায় সে উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এখন সম্ভাবনাময় খাত। সরকার চেষ্টা করছে এ খাতে আরও উন্নতি করার। সংশ্লিষ্টদের আরও সাপোর্ট দেওয়া হবে। এজন্যই প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্বব্যাপী উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ইতিহাস থেকে দেখা যায়, ম্যাটেরিয়ালস প্রক্রিয়াকরণ শিল্প স্থাপন সবসময়ই দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। মানসম্পদ, সহজলভ্যতা এবং সুলভ পণ্য ও সেবার চাহিদা থেকেই মূলত শিল্পায়নের সূচনা হয়। শিল্পায়নের চালিকাশক্তি হলো উন্নত কাঁচামাল, খুচরা যন্ত্রাংশ এবং সংশ্লিষ্ট সেবা, যা ম্যাটেরিয়াল প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের ওপর সরাসরি নির্ভরশীল। মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে বাংলাদেশের শিল্প এরই মধ্যে নিজস্ব উদ্যম আর প্রচেষ্টা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছে। এ অবস্থাকে এগিয়ে নিতে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এমওএস/এএমএ/এমএস
Advertisement