খেলাধুলা

ইমনের দুর্দান্ত ব্যাটিং, জয়ে শুরুর পরও কণ্ঠে হতাশা লিটনের

ইমনের দুর্দান্ত ব্যাটিং, জয়ে শুরুর পরও কণ্ঠে হতাশা লিটনের

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে নিজেদের ইতিহাসে মাত্র দ্বিতীয় সেঞ্চুরিয়ান পেলো বাংলাদেশ। চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছুটিয়ে ৫৩ বলে শতক তুলে নিলেন তরুণ পারভেজ হোসেন ইমন। এমন এক দিনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রত্যাশিত জয়ও পেয়েছে বাংলাদেশ। ২৭ রানের জয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে এগিয়ে গেছে ১-০ ব্যবধানে।

Advertisement

এই ম্যাচ দিয়ে আবার পূর্ণকালীন টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হয়েছে লিটন দাসের। কিন্তু নিজের অধিনায়কত্ব অধ্যায়ের শুরুটা জয়ে হলেও পুরোপুরি খুশি নন লিটন। কেন?

আসলে ইমন যেমন ব্যাটিং করছিলেন, তাতে একটা সময় মনে হচ্ছিল অনায়াসেই ২০০ পার করে ফেলবে বাংলাদেশ। সেটা হয়নি। পুরো ২০ ওভার খেলে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৯১ রানেই আটকে যায় টাইগাররা। ইনিংসের শেষ তিন ওভারে আসে মাত্র ২২ রান।

ওই আফসোস ম্যাচশেষে ঝরে পড়লো অধিনায়ক লিটন দাসের কণ্ঠে। তার কথা, ‘উইকেট ভালো মনে হচ্ছিল ব্যাট করার জন্য। পারভেজ যেভাবে খেলেছে এটা দেখার জন্য অসাধারণ ছিল। কিন্তু আমাদের ভালো শেষ করতে হতো, শেষ তিন ওভারে আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি।’

Advertisement

রান তাড়ায় একটা সময় বেশ ভালো অবস্থানে ছিল আরব আমিরাত। ১৩ ওভারে ১০-এর ওপর রানরেটে ৩ উইকেটেই তুলে ফেলেছিল ১৩১। সেখান থেকে বোলাররা ঘুরে দাঁড়িয়ে ম্যাচে ফেরান বাংলাদেশকে।

লিটন মনে করেন, বোলিংয়েও আরো ফোকাস করতে হবে। টাইগার অধিনায়ক ম্যাচশেষে বলেছেন, ‘আমি জানতাম বোলাররা যেকোনো সময় ফিরে আসতে পারে, আমি তাঁদের শক্তি সম্পর্কে জানি। তারা (আমিরাত) যেভাবে মাঝের ওভারে ব্যাট করেছে, আমাদের নিজেদের বোলিংয়েও ফোকাস করতে হবে। এই মাঠে কী ধরনের বল ভালো হয়, সেটা দেখতে হবে।’

কঠিন পরিস্থিতি থেকে ম্যাচ বের করে আত্মবিশ্বাস পেয়েছে দল। তবে একটা সময় ফিফটি-ফিফটি হয়ে গিয়েছিল স্বীকার করে লিটন বলেন, ‘আত্মবিশ্বাস- যেভাবে সবাই বল করেছে, সবাই যেভাবে মাথা ঠান্ডা রেখেছে...। মাঝে মনে হচ্ছিল ৫০-৫০ হয়ে গেছে। কিন্তু যেভাবে বোলাররা বল করেছে, অসাধারণ হয়েছে।’

এমএমআর/এমএস

Advertisement