দেশজুড়ে

নেত্রকোনায় বগি রেখে চলে গেলো ট্রেনের ইঞ্জিন

নেত্রকোনায় বগি রেখে চলে গেলো ট্রেনের ইঞ্জিন

ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নেত্রকোনার মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের সংযোগ হুক ভেঙে বগি রেখেই ইঞ্জিন চলে গেছে অন্য স্টেশনে। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

Advertisement

শনিবার (১৭ মে) সন্ধ্যা ৮টার দিকে নেত্রকোনার শ্যামগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনটি মোহনগঞ্জের উদ্দেশে ছাড়ার পর চল্লিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে ইঞ্জিনটি একটি বগিসহ নেত্রকোনা স্টেশনে গিয়ে পৌঁছায়। নেত্রকোনা বড় রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন মাস্টার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সন্ধ্যায় ঢাকা থেকে আসা মোহনগঞ্জগামী আন্তঃনগর মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস শ্যামগঞ্জ স্টেশনে এসে পৌঁছে। যাত্রাবিরতি শেষে ছাড়ার কয়েক মিনিট পর চল্লিশা এলাকায় গেলে বগির সংযোগ হুক ভেঙে যায়। এতে একটি বগিসহ ইঞ্জিনটি নেত্রকোনা বড় স্টেশনে চলে আসে। আর বাকি বগিগুলো চল্লিশা এলাকায় রেল সেতুতে থেকে যায়। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

এদিকে এমন ঘটনার পর ঢাকা থেকে আসা নেত্রকোনা বারহাট্টা ও মোহনগঞ্জগামী যাত্রীরা বেশ বিপাকে পড়েন। যাত্রীরা ট্রেন থেকে নেমে বাস ও অন্যান্য যানবাহনে গন্তব্যে রওনা হন। প্রায় ৫ ঘণ্টা পর ময়মনসিংহ থেকে আসা একটি লোকোমোটিভ আটকে থাকা বগিগুলো সরিয়ে নিয়ে যায় নেত্রকোনা বড় রেলস্টেশনে। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে পুনরায় চালু হয় রেল যোগাযোগ।

ট্রেনের যাত্রী মোহনগঞ্জ শহরের বাসিন্দা রফিকুজ্জামান ইদ্রিসী বলেন, ময়মনসিংহ থেকে বাড়ি যাওয়ার জন্য মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে উঠেছিলাম। পথে শ্যামগঞ্জ স্টেশন থেকে ছাড়ার কিছু সময় পর হঠাৎ করে ট্রেনের গতি কমতে থাকে। পরে জানা গেছে যে ট্রেনের ইঞ্জিন চলে গেছে বগি ফেলে। শেষে বাধ্য হয়ে যাত্রীরা ট্রেন নেমে বাস ও সিএনজি করে গন্তব্যে রওনা হয়েছেন। এতে মালামাল নিয়ে যাত্রীরা বেশ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। আমি নিজেও বাসে করে গন্তব্যে রওনা হয়েছি।

Advertisement

নেত্রকোনার সাতপাই রেলস্টেশনের বুকিং সহকারী নজরুল ইসলাম জানান, আকস্মিক দুর্ঘটনার কারণে ট্রেন চলাচলের শিডিউল পাঁচ ঘণ্টার বিপর্যয় ঘটেছে। তবে আশা করা যাচ্ছে আজ রোববার শিডিউল ঠিক হয়ে যাবে।

এইচ এম কামাল/এমএন/এমএস