অবৈধভাবে বালু উত্তোলিত এলাকায় সমন্বিত অভিযান, নতুনভাবে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে বালু মহাল ঘোষণা, রাতে বালু উত্তোলন বন্ধসহ ১০ টি সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
Advertisement
বুধবার (১৪ মে) মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদের সভাপতিত্বে সব বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) সঙ্গে বালুমহাল সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভায় এসব সিদ্ধান্ত হয়।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, খাদ্য ও ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান সংযুক্ত ছিলেন। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সভায় নেওয়া সিদ্ধান্ত১. অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে জেলা প্রশাসকদের কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। যে সব স্থানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলিত হয়, সেসব স্থানে জেলা প্রশাসন, পরিবেশ অধিদপ্তর ও যৌথ বাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান পরিচালনা করতে হবে। ২. জনগণের অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে এবং অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য গৃহীত হওয়ার বিষয়টি সংশ্লিষ্ট অভিযোগকারীকে জানাতে হবে।৩. নতুন বালু মহাল ঘোষণার আগে হাইড্রোগ্রাফিক জরিপসহ প্রচলিত আইন ও বিধি মেনে ইজারা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে।৪. দীর্ঘদিনের পুরানো হাইড্রোগ্রাফিক জরিপের ভিত্তিতে দেওয়া বালু মহালের ক্ষেত্রে নতুন করে ইজারা কার্যক্রম নেওয়ার আগে ফের হাইড্রোগ্রাফিক জরিপ করে ইজারা কার্যক্রম নিতে হবে।৫. ইজারাধীন বালুমহালের সীমানা ইজারাদারকে চিহ্নিত করে দিতে হবে এবং চিহ্নিত এলাকার বাইরে বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।৬. সুর্যাস্তের পর বালু উত্তোলন বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।৭. যেসব বালু মহাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে একাধিক জেলার সম্পৃক্ততা রয়েছে, সেসব ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমন্বয় করে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধে যৌথভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।৮. অবৈধভাবে উত্তোলিত জব্দ করা বালু নিলামে না দিয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণকাজে ব্যবহারের জন্য প্রয়োজনে আদালতের সিদ্ধান্ত নিয়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।৯. বালু মহালের ইজারাগ্রহীতা শর্ত ভঙ্গ করলে শুধু শ্রমিকদের নয়, ইজারাদারকে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।১০. জেলা পর্যায়ে অভিযোগ নিষ্পত্তিতে কার্যকর কাঠামো নিশ্চিত করতে হবে।
Advertisement
আরএমএম/এমএএইচ/জেআইএম