সাম্যসহ ৩ খুনের বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে আইনি নোটিশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী শাহরিয়ার সাম্য (২৫) ও আবু বকর সিদ্দিক এবং মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠনের দাবিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে। নোটিশে প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ ও ঢাবির ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে।

লিগ্যাল নোটিশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও রেজিস্ট্রার, প্রক্টর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের আইজিপি ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন বা র্যাবের ডিজিকে বিবাদী করা হয়েছে।

চার আইনজীবীর পক্ষে বুধবার (১৪ মে) ই-মেইলে সংশ্লিষ্টদের এ নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশদাতারা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, ব্যারিস্টার মাহদী জামান (বনি), অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন, অ্যাডভোকেট নাইম সরদার (অয়ন) ও অ্যাডভোকেট শাহেদ সিদ্দিকী।

আরও পড়ুনঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যা: তিন আসামি কারাগারেঢাবি শিক্ষার্থী সাম্য হত্যার ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠন

নোটিশ পাওয়ার ৩ দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় সুপ্রিম কাের্টের হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়েরসহ আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানানো হয়।

নোটিশে বলা হয়- বিবাদীদের ব্যর্থতার কারণেই ১৩ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র শাহরিয়ার সাম্য (২৫), ২০১০ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আবু বকর সিদ্দিক ও ২০২৪ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর মানসিক ভারসাম্যহীন যুবক তোফাজ্জল হোসেনের মৃত্যু হয়েছে। বিবাদীরা এ দায়ভার এড়াতে পারেন না। এসব মৃত্যুর কারণ উদ্ঘাটনে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলা হয়। এছাড়া নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ৫০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়।

নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করে সুপ্রিম কাের্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান (তুষার) জাগো নিউজকে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এভাবে একের পর এক হত্যাকাণ্ড দুঃখজনক। বিবাদীরা ছাত্রদের নিরাপত্তা দিতে ব্যথা রয়েছে। এসব মৃত্যুর পেছনে বিবাদীদের ব্যর্থতা রয়েছে।

নােটিশ পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা না নেওয়া হলে সুপ্রিম কোর্টে রিট দায়ের করা হবে বলে তিনি জানান।

এফএইচ/এমআইএইচএস/জেআইএম