৭০ শতাংশ আবাসন ভাতা, বাজেট বৈষম্য দূরীকরণ ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব প্রকল্পকে অগ্রাধিকার দেওয়ার দাবিতে জবি শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে যমুনার অভিমুখে লংমার্চ করছেন। লং মার্চে যোগ দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র দল, ছাত্র শিবির, ছাত্র অধিকার পরিষদ, গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠন।
Advertisement
বুধবার (১৪ মে) দুপুর সাড়ে ১২টায় পুরান ঢাকার তাঁতীবাজার মোড়, গুলিস্তান মোড় ও জিরো পয়েন্ট মোড়, মৎস্য ভবন মোড়ে জবি শিক্ষার্থীদের মিছিলে বাধা দেয় পুলিশ।
সরেজমিনে দেখা যায়, তাঁতীবাজার মোড়, গুলিস্তান মোড়, জিরো পয়েন্ট মোড় ও মৎস্য ভবন মোড়ে পুলিশ কাঁটাতারের ব্যারিকেড দিয়েছিল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতি হয় জবি শিক্ষার্থীদের। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই সব ব্যারিকেড ভেঙে দিয়ে শিক্ষার্থীরা যমুনা অভিমুখে এগিয়ে যায়।
আরও পড়ুন
Advertisement
এদিন পূর্বঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে দাবি আদায়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার অভিমুখে জবি ক্যাম্পাস থেকে পদযাত্রা শুরু করেন জবি শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারীদের তিন দফা দাবি হলো১. আবাসনব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন বৃত্তি ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে কার্যকর করতে হবে।
২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে।
৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে।
Advertisement
আন্দোলনে উপস্থিত রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. মোশাররাফ হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বেলাল হুসাইন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ তাজাম্মুল হক, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, সদস্যসচিব সামসুল আরেফিন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. আসাদুল ইসলাম, সেক্রেটারি মো. রিয়াজুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সভাপতি আব্দুল ওয়াহিদ, সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান আকাশ, বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি একে এম রাকিব সাধারণ সম্পাদক রায়হান হাসান রাব্বিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
আরএএস/এমআরএম/এমএস