ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এফ রহমান হলের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্যের জানাজা দুপুর সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
এরইমধ্যে শাহরিয়ার আলম সাম্যের ময়নাতদন্ত সম্পূর্ণ হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মর্গ থেকে স্বজনের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। তারপর ঢাবির কেন্দ্রীয় মসজিদে দুপুর সাড়ে ১২টায় জানাজা শেষে মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।
গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় বাদ আসর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন সাম্যের পরিবার।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দিনগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যান সংলগ্ন কালীমন্দিরের সামনে ছুরিকাঘাতে নিহত হন সাম্য। এঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা রুজু করা হয়েছে।
Advertisement
গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিরা হলেন মো. তামিম হাওলাদার (৩০), সম্রাট মল্লিক (২৮) ও মো. পলাশ সরদার (৩০)।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শাহরিয়ার আলম সাম্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।
থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে তার বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু আশরাফুল আলম রাফি (২৫) ও মো. আব্দুল্লাহ আল বায়েজিদকে (২৫) নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে শাহবাগ থানাধীন সোহরাওয়ার্দী উদ্যান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরছিলেন। পথে রমনা কালিমন্দিরের উত্তর পাশে বটগাছের কাছে পুরাতন ফোয়ারার কাছে পৌঁছালে অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জন তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল দিয়ে এস. এম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
এ বিষয় নিয়ে তাদের সঙ্গে তর্কবিতর্ক শুরু হয়। তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে অজ্ঞাতনামা আসামিরা তাদের কিল, ঘুসি ও ইট দিয়ে আঘাত করে আহত করে। পরবর্তীতে আসামিদের মধ্য থেকে একজন আসামি শিক্ষার্থী এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্যকে হত্যার উদ্দেশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ডান পায়ের ডান রানের পেছনে উপর্যুপরি আঘাত করে।
Advertisement
পরবর্তীতে শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আলমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এফএআর/জেএইচ/এমএস