নড়াইলের লোহাগড়ায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে খাজা মোল্যা (৪৫) নামে দলীয় এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (১৪ মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
Advertisement
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.আশিকুর রহমান মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহত খাজা মোল্যা ইতনা ইউনিয়নের কুমারডাঙ্গা পার ঈশাখালি গ্রামের লবা মোল্যার ছেলে ও বিএনপি কর্মী বলে জানা গেছে।
আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ওই ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ শেখ দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে খাজা মোল্যাকে কুপিয়ে হত্যা করেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের।
Advertisement
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, বুধবার সকালে খাজা মোল্যা নিজ বাড়ি থেকে চা পানের উদ্দেশে কুমারডাঙ্গা বাজারে যান। সেখানে প্রতিপক্ষ ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কুমারডাঙ্গা গ্রামের পলাশ শেখের নেতৃত্বে এসেকেন্দার, ইনসান, রবিউল, শরিফুল, রহমতুল্লাহ, সাইফুল, লাহাব, রাসেল, রাহাত, রনি, মান্না ও মাসুমসহ ১৫-২০ জন ধারালো অস্ত্রসহ কুমারডাঙ্গা বাজারে রবিউলের দোকানের সামনে বসে থাকা অবস্থায় খাজা মোল্যাকে ঘিরে ফেলেন। তারা দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তাকে মারাত্মক জখম করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বোন রেখা বেগম বলেন, পলাশসহ তার লোকজন এলাকায় সন্ত্রাসী রাজত্ব কায়েম করছে। বিভিন্ন সময়ে লোকজনকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও নাশকতার মামলা দিয়ে হয়রানি করছে, জমির ফসল ও গাছ কেটে নিয়ে গেছে। বুধবার সকালে আমার ভাই চা খেতে কুমারডাঙ্গা বাজারে গেলে পলাশের নেতৃত্বে তার লোকজন আমার ভাইকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। আমি প্রশাসনের কাছে আমার ভাই হত্যার বিচার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ শেখের মুঠোফোনে ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
লোহাগড়া উপজেলা বিএনপির সভাপতি আহাদুজ্জামান বাটু বলেন, ইতনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি পলাশ শেখ জড়িত কিনা আমরা খতিয়ে দেখছি। যদি জড়িত হয় সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Advertisement
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান বলেন, নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
হাফিজুল নিলু/এমএন/এএসএম