আইন-আদালত

মৃতের ওয়ারিশদের মধ্যে ফারায়েজ অনুযায়ী পেনশন বণ্টন প্রশ্নে রুল

মৃতের ওয়ারিশদের মধ্যে ফারায়েজ অনুযায়ী পেনশন বণ্টন প্রশ্নে রুল

নমিনি নয় বরং মৃতের আইনগত বৈধ ওয়ারিশদের মধ্যে মুসলিম ফারায়েজ অনুযায়ী আনুপাতিক হারে এককালীন পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থসহ চাকরির অন্যান্য সুবিধা কেন বণ্টন করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে বিবাদীদের এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৩ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।

আদালতে এদিন রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বায়েজীদ হোসাইন ও নাঈম সরদার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। তাকে সহযোগিতা করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মাহফুজ বিন ইউসুফ, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট একরামুল কবির ও অ্যাডভোকেট মো. ঈসা।

আরও পড়ুনমমতাজকে আদালতে তোলার সময় ‘ফাইট্টা যায়’ স্লোগান নরসিংদীর হাড়িদোয়া নদী দখলদারদের তালিকা করার নির্দেশ 

রিটকারী পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, রিট আবেদনকারীরা ভাই-বোন। তাদের বাবা সরকারি কর্মচারী থাকাকালীন মারা যান। রিট আবেদনকারীরা তাদের বাবার ১ম স্ত্রীর সন্তান। প্রথম স্ত্রী মারা গেলে বাবা ২য় বিয়ে করেন। বাবা মারা যাওয়ার পরে এই রিট আবেদনকারীরা জানতে পারেন যে, বাবা তাদের সৎ মাকে নমিনি রেখে যান। তারা এও জানতে পারেন যে, তাদের সৎমা তাদের বাবার রেখে যাওয়া এককালীন পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থসহ অন্যান্য চাকরি সুবিধাদি আত্মসাৎ করতে চাচ্ছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, রিট আবেদনকারীরা সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের নমিনিসহ মৃতের আইনগত বৈধ ওয়ারিশদের মধ্যে মুসলিম ফারায়েজ অনুযায়ী আনুপাতিক হারে এককালীন পেনশন, প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থসহ চাকরির অন্যান্য সুবিধাদি বণ্টনের জন্য আবেদন করেন। অথচ বিবাদীরা এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ নেননি। পরে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট দায়ের করা হয়। শুনানি শেষে আদালত এই রুল জারি করেন।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, শুনানি শেষে আদালত রুল জারি করেছেন। আশা করছি, সংশ্লিষ্টরা রুলের জবাব দেবেন ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

এফএইচ/কেএসআর

Advertisement