বিনোদন

ট্রাম্পের শুল্ক আগ্রাসন, চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোর কড়া প্রতিবাদ

ট্রাম্পের শুল্ক আগ্রাসন, চলচ্চিত্র সংগঠনগুলোর কড়া প্রতিবাদ

যুক্তরাষ্ট্রে নির্মিত নয় এমন সিনেমার ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধিকে এ ধরনের শুল্ক আরোপের প্রক্রিয়া শুরুর জন্য দায়িত্ব দিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন। আমেরিকার সিনেমা শিল্প দ্রুত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে এমন কারণ দেখিয়েই তিনি এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। খবর বিবিসির।

Advertisement

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ঘোষিত নতুন শুল্ক নীতির প্রতিবাদে একত্রিত হয়েছেন বিশ্বের শতাধিক স্বাধীন চলচ্চিত্র ও টিভি সংগঠন। কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরুর একদিন আগে সোমবার তারা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও বৈশ্বিক সরকারগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। সেখানে তারা স্বাধীন চলচ্চিত্র ইকোসিস্টেমকে রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য বলেন।

এই উদ্যোগের আওতায় প্রকাশিত এক বিবৃতির শিরোনাম ছিল ‘আমাদের গল্প, আমাদের কণ্ঠস্বর: শিল্পীর স্বাধীনতা, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সাংস্কৃতিক সার্বভৌমত্বের পক্ষে একটি বৈশ্বিক ঘোষণা’। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংস্কৃতি, সৃজনশীলতা ও বৈচিত্র্যময় গল্প বলার গণতান্ত্রিক প্রবেশাধিকার যেন অব্যাহত থাকে। সেজন্য স্বাধীন অডিওভিজ্যুয়াল সৃষ্টির সহায়ক ব্যবস্থা রক্ষা করতে হবে।

স্বাক্ষরকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে রয়েছে ইউরোপিয়ান প্রডিউসারস ক্লাব, আইরিশ ইক্যুইটি, দক্ষিণ আফ্রিকার ইনডিপেনডেন্ট ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন এবং কানাডার আলিয়ঁস দে প্রোদুকতোর্ফ ফ্রঁকোফোন দ্যু কানাডা।

Advertisement

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, রাজনৈতিক ও কর্পোরেট প্রভাবশালী শক্তির অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এটি সংস্কৃতি ও সৃজনশীলতার বহুত্ববাদ নিশ্চিত করা বিভিন্ন নিয়মকানুন ভাঙার দিকে এগোচ্ছে। একে রোধ করতে হবে।

বিশেষভাবে হুমকির মুখে রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু প্রতিষ্ঠান। সেগুলো বিদেশি স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য স্থানীয় প্রযোজনায় বিনিয়োগ বাধ্যতামূলক করে। ট্রাম্পের শুল্ক নীতি ঘোষণার আগেই, চলতি বছরের মার্চে মোশন পিকচার্স অ্যাসোসিয়েশেন এই বিধানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেড প্রতিনিধি কার্যালয়ে একটি স্মারকলিপি দেয়।

বিবৃতির স্বাক্ষরকারীরা জোর দিয়ে বলেন, তারা যেকোনো রাজনৈতিক, আইনগত বা অর্থনৈতিক প্রচেষ্টার বিরোধিতা করেন। চলচ্চিত্র ও অডিওভিজ্যুয়াল ক্ষেত্রে শিল্পীর স্বাধীনতা ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য রক্ষার জাতীয় বা আন্তর্জাতিক বিধিবিধানকে দুর্বল করে এমন কোনোকিছুই তারা মেনে নেবেন না।

এসব উদ্যোগ ও বিবৃতি প্রসঙ্গে ট্রাম্প বা তার প্রশাসনের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

Advertisement

এলআইএ/এমএস