ধর্ম

দাবদাহে মসজিদে বিশ্রাম নেওয়া যাবে কি?

দাবদাহে মসজিদে বিশ্রাম নেওয়া যাবে কি?

ইতিকাফকারী মসজিদে বিশ্রাম নিতে পারেন ও ঘুমাতে পারেন। ইতেকাফকারীর জন্য মসজিদে ঘুমানো ও অবস্থান করা সওয়াবের কাজ। এ ছাড়া যাদের বিশ্রাম নেওয়া/ ঘুমানোর সহজ বিকল্প ব্যবস্থা নেই তারাও মসজিদে ঢুকে বিশ্রাম নিতে পারেন বা ঘুমাতে পারেন। দাবদাহে পথচারীরা ক্লান্ত হয়ে পড়লে মসজিদে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিতে পারেন, এতে কোনো গুনাহ হবে না বা এটা অপছন্দনীয়ও নয়।

Advertisement

তবে ইতেকাফকারী না হলে এবং মসজিদের বাইরে বিশ্রাম নেওয়ার ব্যবস্থাপনা থাকলে শুধু বিশ্রাম নেওয়া বা ঘুমানো জন্য মসজিদ ব্যবহার করা উচিত নয়।

বেশ কিছু হাদিস থেকে আমরা জানতে পারি, নবিজির (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) যুগে অনেক সাহাবি বিভিন্ন সময় মসজিদে বিশ্রাম নিয়েছেন বা ঘুমিয়েছেন। ইবনে ওমর (রা.) বলেন, তরুণ ও অবিবাহিত অবস্থায় আমি মসজিদে ঘুমাতাম। (সহিহ বুখারি, সহিহ মুসলিম) এ ছাড়া হজরত আলী (রা.) ও সাফওয়ান ইবনে উমাইয়া (রা.) মসজিদে ঘুমিয়েছেন এ রকম বর্ণনা পওয়া যায়। একজন কৃষ্ণাঙ্গ নারী সাহাবি মসজিদে ঘুমিয়েছেন এ রকম বর্ণনাও পাওয়া যায়।

ইতেকাফ বা অন্য কোনো প্রয়োজনে মসজিদে বিশ্রাম নিলে বা ঘুমালে মসজিদের আদব ও সম্মান রক্ষার দিকে মনোযোগী থাকা আবশ্যক।

Advertisement

মসজিদ মূলত নামাজ, জিকির, তালিম ইত্যাদি ইবাদতের জায়গা। মসজিদের মর্যাদা রক্ষা করা মুসলমানদের কর্তব্য ও তাকওয়ার দাবি। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,

ذٰلِکَ وَمَنۡ یُّعَظِّمۡ شَعَآئِرَ اللّٰهِ فَاِنَّهَا مِنۡ تَقۡوَی الۡقُلُوۡبِ

এটাই আল্লাহর বিধান এবং কেউ আল্লাহর নিদর্শনাবলীকে সম্মান করলে এটাতো তার অন্তরের তাকওয়ারই বহিঃপ্রকাশ। (সুরা হজ্জ: ৩২)

মসজিদকে মর্যাদায় সমুন্নত করার ও মসজিদে তার নাম স্মরণ করার নির্দেশ দিয়ে এবং মসজিদে ইবাদতকারীদের প্রশংসা করে আল্লাহ তাআলা বলেন,

Advertisement

فِیۡ بُیُوۡتٍ اَذِنَ اللّٰهُ اَنۡ تُرۡفَعَ وَ یُذۡکَرَ فِیۡهَا اسۡمُهٗ یُسَبِّحُ لَهٗ فِیۡهَا بِالۡغُدُوِّ وَ الۡاٰصَال رِجَالٌ لَّا تُلۡهِیۡهِمۡ تِجَارَۃٌ وَّ لَا بَیۡعٌ عَنۡ ذِکۡرِ اللّٰهِ وَ اِقَامِ الصَّلٰوۃِ وَ اِیۡتَآءِ الزَّکٰوۃِ ۪ۙ یَخَافُوۡنَ یَوۡمًا تَتَقَلَّبُ فِیۡهِ الۡقُلُوۡبُ وَ الۡاَبۡصَارُ

যেসব গৃহকে মর্যাদায় সমুন্নত করতে এবং তাতে তাঁর নাম স্মরণ করতে আল্লাহ নির্দেশ দিয়েছেন, সেখানে সকাল ও সন্ধ্যায় তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে এমন ব্যক্তিরা যাদেরকে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং ক্রয় বিক্রয় আল্লাহর স্মরণ থেকে, নামাজ কায়েম ও জাকাত প্রদান থেকে বিরত রাখেনা, তারা ভয় করে সেই দিনকে যেদিন অন্তর ও দৃষ্টিসমূহ বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে। (সুরা নুর: ৩৬, ৩৭)

ওএফএফ/এএসএম