জাতীয়

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি কফিল উদ্দিন

বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (১১ মে) মতিঝিলের একটি হোটেলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় দেশের বিভিন্ন জেলার বাস মালিক প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Advertisement

সভায় দেশের পরিবহন সেক্টরের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন কফিল উদ্দিন আহমেদ। তিনি আগামী নির্বাচন পর্যন্ত এই দায়িত্ব পালন করবেন।

এছাড়া কার্যকরী সভাপতি পদ শূন্য হওয়াতে বর্তমান কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি এম এ বাতেনকে মালিকদের মতামতের ভিত্তিতে কার্যকরী সভাপতি পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত শ্রমিক পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক ও পরিবহন সেক্টরের মালিক-শ্রমিক পরিষদের সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট শামছুর রহমান শিমুল বিশ্বাস।

Advertisement

তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি পরিচালনা করবে প্রকৃতি মালিকরা। বাস মালিক না হয়ে কেউ নেতৃত্ব নিতে পারবেন না। আর একটি বিষয় সবাই মাথায় রাখতে হবে এই সমিতি সব সময় রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থাকবে। এই বিষয়ে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব মো. সাইফুল আলম বলেন, পরিবহন সেক্টরের ২০১৮ সালের কালো আইন বাতিল করতে হবে। ২০১৮ সালে যে সকল আইনের মাধ্যমে পরিবহন মালিকদের ধ্বংসের পাঁয়তারা হয়েছিল। আমরা প্রধান অতিথির কাছে অনুরোধ করবো বাস মালিকদের শেষ করে দেওয়ার আইনগুলো বাতিল করার বিষয়ে আপনি সরকারের কাছে জোর দাবি জানাবেন।

তিনি আরও বলেন, বিগত ঈদুল ফিতরের মতো স্তস্তিদায়ক ঈদযাত্রা যেন ঈদুল আজহাতেও হয় সে বিষয়ে বাস মালিকদের নজর রাখতে হবে। একই সাথে যাত্রীদের স্বস্তির বিষয়টিকে প্রাধান্য দিতে হবে।

নবনির্বাচিত সভাপতি কফিল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের আগের কমিটিই আছে। এর মধ্যে হাজী আলাউদ্দিন না থাকায় আমি নির্বাহী সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলাম। কিন্তু আজ সাধারণ সভায় আমাকে সভাপতির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বাকি সবাই আগের দায়িত্বে আছেন।

Advertisement

সভায় বিগত অর্থবছরের অডিট রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়, পরে উপস্থিত মালিকদের সম্মতিতে অডিট রিপোর্ট পাশ হয়। এছাড়াও মালিকদের সম্মতিতে আগামী অর্থবছরে অডিট ফার্মকে দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। গত অর্থবছরে যে ফার্ম অডিট রিপোর্ট প্রস্তুত করেছিলেন সেই প্রতিষ্ঠানকেই নতুন করে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এমএমএ/এমআরএম/এএসএম