টানা তিনদিনের গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল কিশোরগঞ্জবাসী। জনজীবনে নেমে এসেছিল অস্বস্তি। তবে রোববার (১১ মে) বিকেলের দিকে হঠাৎ করেই আকাশ কালো করে নামে স্বস্তির বৃষ্টি, যা এনে দেয় একরাশ প্রশান্তি।
Advertisement
বৃষ্টিতে স্বস্তি মিললেও শহরের বিভিন্ন এলাকার রাস্তাঘাটে জমে হালকা পানি। তারপরও গরমে স্বস্তি মেলায় খুশি মানুষ।
তাসনিয়া তারান্নুম অরজিতা বলেন, কয়েক দিনের প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ ছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টিতে পরিবেশ ঠান্ডা হয়েছে। এখন স্বস্তি লাগছে।
চা দোকানের কর্মচারী আব্দুল আজিজ বলেন, গরমে দোকানে কাজ করতেই কষ্ট হয়ে গেছিল। আজকের বিকেলের হঠাৎ বৃষ্টিতে পরিবেশ ঠান্ডা হয়েছে।
Advertisement
নিকলী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষক আখতার ফারুক জানান, তিনদিন ধরে কিশোরগঞ্জে মাঝারি তাপপ্রবাহ চলছিল। আজকের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বৃষ্টি হাওয়ার সম্ভাবনা ছিল না। তারপরও বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ বজ্রসহ বৃষ্টি হয়। ভালো বৃষ্টি হয়েছে। আজকে দুপুর পর্যন্ত তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৩৮ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আগামীকালও এমন তাপমাত্রা বিরাজ করবে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা কম।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) কিশোরগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম জুয়েল জানান, স্বস্তির বৃষ্টি হলেও তার সঙ্গে ছিল বজ্রপাত। তিনদিন ধরে কিশোরগঞ্জের তাপমাত্রা অনেক বেশি ছিল। হঠাৎ গরম, হঠাৎ বৃষ্টি এগুলোর জন্য গাছ কেটে পরিবেশ ধ্বংস করাই মূল কারণ। পরিবেশের এই বৈরিতা থেকে বাঁচতে আমাদের অবশ্যই পরিবেশের দিকে নজর রাখতে হবে।
এসকে রাসেল/জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement