রিশাদ হোসেন ও নাহিদ রানাদের এখন আর ভয় নেই। তারা নিরাপদেই পাকিস্তান থেকে আরব আমিরাতে চলে গেছেন। তবে কয়েকদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাকিস্তানে থাকতে হয়েছে তাদের। এখন বাংলাদেশি দুই ক্রিকেটার বেশ স্বস্তিতেই আছেন।
Advertisement
আজ শনিবার ভোরে দুবাইয়ে অবতরণ করে রিশাদদের বহনকারী বিমান। সেখানে পাকিস্তানে বিভীষিকাময় দিনগুলোর অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন রিশাদ।
দুবাই বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের রিশাদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, আমরা একটি সংকট কাটিয়ে দুবাই পৌঁছেছি এবং এখন আমি ভালো বোধ করছি।’
গত মঙ্গলবার থেকেই ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা ঘটতে থাকে। ভৌগোলিকভাবে দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশের মধ্যে যুদ্ধাংদেহী অবস্থায় আতংকিত হয়ে পড়েছিলেন পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) খেলতে যাওয়া বিদেশি ক্রিকেটাররা। ভারতীয় প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) বিদেশি ক্রিকেটারদেরও অবস্থা একই রকম।
Advertisement
রিশাদ জানান, বিদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে টম কারানকে তিনি সবচেয়ে আতংকিত দেখতে পান। লাহোর কালান্দার্সে তার এই ইংলিশ সতীর্থ এতটাই ভয় পান যে বাচ্চাদের মতো কাঁদতে শুরু করেন।
ডানহাতি টাইগার লেগস্পিনার বলেন, ‘সে (টম কারান) এয়ারপোর্টে গিয়েছিল, কিন্তু শুনলো যে এয়ারপোর্ট বন্ধ। তারপর সে বাচ্চা ছেলের মতো কাঁদতে শুরু করে। তাকে সামলাতে দুই-তিনজন মানুষ লাগলো।’
অন্য ক্রিকেটাররাও ছিলেন আতংকে। এর মধ্যে নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ড্যারিল মিচেল তো ঘোষণাও দিয়ে ফেলেছেন যে, তিনি আর পাকিস্তান খেলতে যাচ্ছেন এমন পরিস্থিতিতে।
রিশাদ বলেন, ‘বিদেশি খেলোয়াড়দের মধ্যেও আতঙ্ক ছিল— স্যাম বিলিংস, ড্যারিল মিচেল, কুশল পেরেরা, ডেভিড ভিসে, টম কারান... সবাই ভীত ছিল। দুবাই পৌঁছে মিচেল আমাকে বলল, সে আর কখনো পাকিস্তানে যাবে না, বিশেষ করে এমন পরিস্থিতিতে। মোটকথা, সবাই আতঙ্কে ছিল।’
Advertisement
পেশোয়ার জালমির হয়ে খেলতে গিয়েছিলেন পেসার নাহিদ রানা। রিশাদ জানান, উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নাহিদ রানাও ভীত ছিলেন।
রিশাদ বলেন, ‘নাহিদ রানা খুব চুপচাপ ছিল, হয়তো টেনশনে। আমি বারবার তাকে বোঝাতে চেষ্টা করেছি যে আমাদের কিছু হবে না। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা নিরাপদেই দুবাই পৌঁছেছি।’
এমএইচ/