জেটি ঘাটের ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন

বরিশালের কলাপাড়ায় জেটি ঘাটের ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন স্থানীয়রা। শনিবার (১০ মে) বেলা ১২টায় উপজেলার তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি ঘাটে এ মানববন্ধন করে ক্ষতিগ্রস্তরা।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বর্তমান ঠিকাদারকে বাদ দিতে একটি মহল ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি ঘাটের মালামাল লোড আনলোড করার কাজ বাগিয়ে নিতে চাচ্ছে। এটা সফল হলে এ এলাকার শতাধিক পরিবার না খেয়ে মরার উপক্রম হবে। কর্মহীন হয়ে পড়বে শতাধিক শ্রমিক। এ অবস্থা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের একান্ত হস্তক্ষেপে প্রকৃত ঠিকাদারকে বহাল রাখার দাবি জানান ভুক্তভোগীদের।

মানববন্ধনে উপস্থিত মো. মন্টু ফকির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার মানুষ মালামাল লোড আনলোড করার কাজ করছে। এখন যদি অন্য লোক এ কাজ বাগিয়ে নেয় তাহলে অনেক মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়বে। তাই পূর্বের ঠিকাদারকে বহাল রাখার দাবি জানাই।

মো. হিরণ খান বলেন, এখানে পুরুষদের পাশাপাশি অনেক নারী শ্রমিকরাও কাজ করে। এ কাজ ভুয়া একটি কাগজ বানিয়ে কেউ হাতিয়ে নিলে তা মেনে নেওয়া হবে না। তাছাড়া এ তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে আমাদের সবার কমবেশি জমি অধিগ্রহণ হয়েছে। তাই আমরা যদি এই কাজে থাকতে না পারি তাহলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জেটি ঘাটের মালামাল লোড আনলোড কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে।

বর্তমান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মিফতা ট্রেডার্সের প্রোপাইটর মো. শাহিন মৃধা জানান, এ কাজ পাওয়ার পর উক্ত এলাকার শতাধিক মানুষ নিয়ে কাজ করেছি। এখন একটি মহল প্রভাব খাটিয়ে একটি ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে কাজটি বাগিয়ে নেয়। তাহলে এ এলাকার অনেক মানুষ বেকার হয়ে পড়বে। তাই কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি সঠিকভাবে বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়ার দাবি জানাই।

ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার বানিয়ে কাজ বাগিয়ে নিতে চাওয়া অভিযুক্ত আমিনুল ইসলাম মহাসিন বলেন, আমি সব প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করে ওয়ার্ক অর্ডার নিয়েছি। এখানে কোনো জালিয়াতি করা হয়নি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীদের নিয়েই কাজ করা হবে।

তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কাজ করা সিঙ্গাপুরি প্রতিষ্ঠান দাভাজুলির বরিশালের ডিজিএম অপারেশন লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. মনির হোসেন বলেন, কাজ কে করবে না করবে এটা কোম্পানির বিষয়, তবে এলাকাবাসীর বিষয়টি আমি কোম্পানিকে জানাবো। তারা বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবে।

শাওন খান/আরএইচ/জেআইএম