জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে শাহবাগে গণজমায়েতে অংশ নিয়েছে ছাত্র-জনতা।
Advertisement
শনিবার (১০ মে) বিকেল ৩টা থেকে রাজধানীর শাহবাগে গণজমায়েত শুরু হয়েছে।
এই গণজমায়েতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, ইনকিলাব মঞ্চ, এবি পার্টি, লেবার পার্টি, আপ-বাংলাদেশ, জুলাই ঐক্য, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ, খেলাফত মজলিশ, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজত ও ইসলামী আন্দোলনের নেতারা, ছাত্রশিবির, ইসলামি ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, জুলাই মঞ্চসহ অসংখ্য ফ্যাসিবাদ বিরোধী সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন সংহতি জানিয়ে অংশ নিয়েছে।
আরও পড়ুন
Advertisement
এসময় তারা ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামীলীগ’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’ সহ নানা স্লোগান দেয়।
গণজমায়েতে জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, বাংলাদেশ আজ দুইভাগে বিভক্ত। একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি, আরেকটি বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় না, তারা ফ্যাসিবাদী শক্তি। আর যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় তারা বাংলাদেশি শক্তি।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার আগ পর্যন্ত রাজপথ না ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আমাকে যদি কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো শক্তি কণ্ঠরোধ করতে চায়, তবুও আপনারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। ২০১৩ সালে শাহবাগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ শুরু হয়েছে, আর এই শাহবাগ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন হবে। আমাদের মত, পথ আলাদা হতে পারে। তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমাদের মত, পথ এক। নমরুদের যেভাবে পতন হয়, ফেরাউনের যেভাবে পতন হয়, হাসিনারও পতন হয়।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি বলেন, শহীদের মায়েদের চেয়ে আমাদের কষ্ট বেশি না। খুনি হাসিনার বিচার হবে, শাপলার বিচার হবে, পিলখানার বিচার হবে, জুলাইয়ের বিচারও হবে। আমার কণ্ঠস্বর থামলেও এই লাখো জনতার কণ্ঠস্বর যেন না থামে।
Advertisement
এফএআর/এএমএ/জেআইএম