আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার আশপাশের এলাকায় সতর্কতা বাড়িয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল থেকে কাকরাইল সড়ক ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছে পুলিশ। ওই সড়ক দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করছে না।
Advertisement
শুক্রবার (৯ মে) দুপুরে ডিএমপির রমনা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম জাগো নিউজকে বলেন, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত থেকেই পুলিশসহ অন্য বাহিনীগুলোর নিরাপত্তা জোরদার রয়েছে। দুপুরে যেহেতু সমাবেশ তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নিরাপত্তার স্বার্থে যমুনার সামনের সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশ ঘিরে যমুনার আশপাশের এলাকায় সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাবসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
আরও পড়ুন আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে জুমার পর সমাবেশ যমুনার সামনে নাহিদ ইসলামসহ এনসিপির শীর্ষ নেতারাছাত্র-জনতার বিক্ষোভ কর্মসূচি এখনো চলছে। বিক্ষোভ মিছিল থেকে তারা বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন।
Advertisement
ছাত্র-জনতার স্লোগানে উঠে এসেছে, ‘বাহ ইন্টেরিয়াম চমৎকার, খুনিদের পাহারাদার’; ‘লীগ ধরো, জেলে ভরো’; ‘ওয়ান টু থ্রি ফোর, আওয়ামী লীগ নো মোর’; ‘খুনি লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’; ‘ক্ষমতা না জনতা, জনতা জনতা’; ‘ব্যান করো, ব্যান করো, আওয়ামী লীগ ব্যান করো’; ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’; ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’; ‘গোলামি না আজাদী, আজাদী আজাদী’।
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পাশাপাশি বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত একটার পর হেফাজতে ইসলামের বেশকিছু নেতাকর্মী যমুনার সামনে যান। রাত দেড়টার দিকে এবি পার্টির কিছু নেতাকর্মী সেখানে যান। রাত দুইটার দিকে সেখানে যান ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীরা।
সমাবেশ ঘিরে বড় জমায়েত করার ঘোষণা দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ফোয়ারার সামনে মঞ্চ নির্মাণের কাজ চলছে। বাদ জুমা জনসমুদ্র হবে সেখানে। আজকে সবাই বুঝতে পারবেন কারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়।
Advertisement
সমাবেশে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হাসনাত।
আরও পড়ুন আওয়ামী লীগকে কারা নিষিদ্ধ চায়, আজ বুঝতে পারবেন: হাসনাততিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা দিয়ে নিবন্ধন বাতিল করে নিষিদ্ধ করা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা রাজপথ ছেড়ে যাবো না। সারাদেশের জনগণকে বলবো, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে আপনারা রাজপথে নেমে আসুন।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টা থেকে বিক্ষোভ চলছে। শুক্রবার দুপুরে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে বিক্ষোভ চলছে।
টিটি/এমকেআর/জিকেএস