কৃষি ও প্রকৃতি

প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবসে গ্রিন ভয়েসের ৫ দাবি

প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবসে গ্রিন ভয়েসের ৫ দাবি

‘প্রাকৃতিক অক্সিজেন রক্ষা দিবস ২০২৫’ উপলক্ষে পরিবেশবাদী সংগঠন গ্রিন ভয়েসের উদ্যোগে র্যালি অনুষ্ঠিত হয়েছে। সমাবেশে ঢাকা শহরের অন্তত ২০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩০০ শিক্ষার্থী অংশ নেন।

Advertisement

বুধবার (৭ মে) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই সমাবেশ ও র্যালি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পাঁচটি দাবি জানায় গ্রিন ভয়েস।

সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন গ্রিন ভয়েসের সহ-সমন্বয়ক আরিফুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রধান সমন্বয়ক মো. আলমগীর কবির। বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স।

প্রিন্স বলেন, উন্নয়নের নামে গাছ কাটা এখন যেন রাষ্ট্রীয় নীতিতে পরিণত হয়েছে। পরিবেশ রক্ষার প্রশ্নে কোনো রাজনৈতিক দল বা মতের বিভেদ নয়, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে পরিবেশবান্ধব আন্দোলনে নামতে হবে।

Advertisement

গ্রিন ভয়েসের সমন্বয়ক আলমগীর কবির বলেন, অক্সিজেন ছাড়া জীবন অসম্ভব। অথচ এই অক্সিজেন সরবরাহকারী গাছগুলোই উন্নয়নের নামে কেটে ফেলা হচ্ছে। ব্যক্তিস্বার্থ, ধর্মীয় উসকানি বা ভ্রান্ত ধারণায় যারা পরিবেশ ধ্বংস করছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।

সমাবেশে নিম্নোক্ত দাবিগুলো তুলে ধরা হয়

১. সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, রমনা পার্ক ও ওসমানী উদ্যানের মতো ঐতিহাসিক এবং পরিবেশগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ সবুজ অঞ্চলগুলোকে কোনোভাবেই উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা যাবে না। এজন্য একটি স্থায়ী ও কঠোর আইন প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে।

২. নগর উন্নয়নের ক্ষেত্রে নতুন অবকাঠামো নির্মাণের আগে অবশ্যই ‘পরিবেশগত প্রভাব মূল্যায়ন’ বাধ্যতামূলক করতে হবে, এবং সব প্রকল্পে গাছ রক্ষা ও পুরোনো গাছের পুনরায় অবস্থানে ফেরানোর নকশা থাকতে হবে।

Advertisement

৩. রাস্তার পাশে এবং পরিত্যক্ত খালি জায়গায় গাছ লাগানো এবং সংরক্ষণের মাধ্যমে, সেসব স্থানে গাছ পুনরায় লাগানোর ব্যবস্থা নিতে হবে এবং প্রতিটি ওয়ার্ডে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ সবুজ এলাকা সংরক্ষণের নীতিমালা প্রয়োগ করতে হবে।

৪. শব্দ ও বায়ু দূষণ রোধে শহরের চারপাশে সবুজ বাফার জোন গঠন করা জরুরি, বিশেষ করে শিল্প এলাকা, মেট্রোরেল এবং প্রধান সড়কের পাশে শব্দ-শোষণকারী গাছ লাগিয়ে এই জোন তৈরি করতে হবে।

৫. খাল, পুকুর ও জলাধার পুনরুদ্ধার করে ঢাকা শহরে ‘সবুজ-নীল করিডোর' গঠন করতে হবে, যেন প্রাকৃতিকভাবে বায়ু বিশুদ্ধ রাখা এবং তাপমাত্রা কমানো সম্ভব হয়।

আরএএস/এমআরএম/এএসএম