সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ময়মনসিংহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শরীফ আহমেদ, যশোর-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শাহিন চাকলাদের স্ত্রী ফারহানা জাহান মালাসহ চারজনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
Advertisement
বুধবার (৭ মে) দুদকের পৃথক তিন আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিব। অপর দুইজন হলেন, আব্দুল মালেক এবং তার স্ত্রী সায়ীদা সুলতানা। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন। শরীফ আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন সংস্থার উপসহকারী পরিচালক মিজানুর রহমান।
আবেদনে বলা হয়, শরীফ আহমেদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা মূল্যের সম্পদ অর্জন করে তা নিজ ভোগ দখলে রেখে এবং ৪২ কোটি ৬৮ লাখ ৮১ হাজার ৮১৬ টাকার সন্দেহজনক লেনদেন করার মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর ও রূপান্তর করার অভিযোগে গত ৩০ জানুয়ারি সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ময়মনসিংহ এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্তাধীন রয়েছে। শরীফ আহমেদ দেশ ছেড়ে বিদেশে পলায়ন করতে পারেন মর্মে বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায়। মামলার তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
ফারহানা জাহান মালার দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদনে সংস্থার সহকারী পরিচালক আল-আমিন বলেন, ফারহানা জাহান মালার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অপরাধে গত ১৮ মার্চ সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, ফারহানা জাহান মালা আত্মগোপনে আছেন। যেকোনো সময় তার পরিবারসহ বিদেশে পালিয়ে যেতে পারে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন।
Advertisement
আব্দুল মালেক এবং তার স্ত্রী সায়ীদা সুলতানার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন সংস্থার সহকারী পরিচালক মোছা. আজমেরী বাধন।
আবেদনে বলা হয়, আব্দুল মালেক দুর্নীতি দমন কমিশনে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ১৩ লাখ ১৬ হাজার। ৩৪৮ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপনের মাধ্যমে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বিবরণী দাখিল করেন। এক কোটি ৪৬ লাখ ৬৫ হাজার ৪৭১ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রেখে এবং ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ অর্থের স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের মাধ্যমে বিদেশে প্রেরণ করেন। অভিযোগটি তদন্তাধীন রয়েছে। তদন্তের বিষয়টি রাষ্ট্রের স্বার্থে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে অতীব গুরুত্বপূর্ণ। মামলা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন মর্মে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তিনি বিদেশে পালিয়ে গেলে তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত বা ব্যাহত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন।
এমআইএন/এমএএইচ/জেআইএম
Advertisement