চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসে একটি দালাল চক্র মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে- এমন অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
Advertisement
বুধবার (৭ মে) দুপুরে দুদকের ঝিনাইদহ সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি টিম এ অভিযান চালায়। অভিযানের খবর শুনে পালিয়ে যান দালালরা। এসময় অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তাকেও দুদক টিম সেখানে পায়নি।
দুদক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ কার্যালয়ে একটি দালাল চক্র সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালিত হয়। দালাল সিন্ডিকেট এবং অফিসের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আছে কি না- তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
দুদকের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে সকাল থেকেই আমরা ছদ্মবেশে বিআরটিএ অফিসে অবস্থান করি। অভিযানকালে দালালদের দৌরাত্ম্য স্পষ্টভাবে পরিলক্ষিত হয়। সেবা নিতে আসা মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারি, তারা দালালদের কারণে সরাসরি অফিসে ঢুকতে পারে না এবং নানা হয়রানির শিকার হন।
Advertisement
তিনি আরও জানান, দালালদের শনাক্তে কাজ চলছে এবং বিআরটিএ অফিসের প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলমের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
ড্রাইভিং লাইসেন্স ও ফিটনেস সার্টিফিকেট প্রদানে দালাল চক্রের মাধ্যমে ঘুস লেনদেনসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে দেশের ৩৫টি বিআরটিএ কার্যালয়ে একযোগে অভিযান চালাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। এরই অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসে এ অভিযান চালানো হয়।
হুসাইন মালিক/জেডএইচ/জেআইএম
Advertisement