পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ১১ মে দুপুর ১২টায় উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
Advertisement
অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রটি জানিয়েছে, পুঁজিবাজার উন্নয়ন ও শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে এ সভার আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা সভায় সভাপতিত্ব করবেন। সভায় অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থ মন্ত্রণালয়), আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যানকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে।
এদিকে, কয়েক মাস ধরেই শেয়ারবাজারে মন্দা অবস্থা চলছে। এর মধ্যে শেষ তিন সপ্তাহ ধরে শেয়ারবাজারে টানা দরপতন চলছে। এই টানা দরপতনের মধ্যেই প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তান সংঘাতে জড়িয়েছে। এতে দেশের শেয়ারবাজারে পতনের মাত্রা আরও বেড়ে গেছে। এমন পরিস্থিতিতেই পুঁজিবাজার নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা।
Advertisement
দুই সপ্তাহ আগে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার (৬ মে) গভীর রাতে পাকিস্তানের কমপক্ষে ৯ স্থানে হামলা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তান দাবি করেছে যে, ভারতীয় ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাব দিয়েছে তারা।
প্রতিবেশী দুই দেশের মধ্যে বিরাজমান এই পরিস্থিতিতে বুধবার দেশের শেয়ারবাজারে লেনদেন শুরু হতেই অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমে যায়। ফলে লেনদেনের শুরুতেই শেয়ারবাজারে বড় দরপতন হয়। লেনদেনের শুরুতে দেখা দেওয়া পতনের ধারা এখনও অব্যাহত রয়েছে।
এ প্রতিবেদন লেখার সময় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) মাত্র ৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৩৮২টির। আর ৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।
এতে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১৪১ পয়েন্ট। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ৩৯ পয়েন্ট। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। এ সময় পর্যন্ত ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৪৩১ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।
Advertisement
শেয়ারবাজারে এমন ঢালাও দরপতনের কারণ হিসেবে ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সাবেক সভাপতি এবং ডিএসইর পরিচালক রিচার্ড ডি রোজারিও জাগো নিউজকে বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার পরিস্থিতির কারণে শেয়ারবাজারে এমন দরপতন দেখা দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমি মনে করি আমাদের শেয়ারবাজার এমনিতেই এখন বটম লাইনে রয়েছে। এখান থেকে বাজার খুব নিচে নামার সম্ভাবনা কম। আশা করছি বাজার ঘুরে দাঁড়াবে।
ডিএসইর এক সদস্য বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই দেশের শেয়ারবাজার পতনের মধ্যে রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের এখন দিশেহারা অবস্থা। এ পরিস্থিতিতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট বর্তমান উত্তেজনাকর পরিস্থিতি মরার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে এসেছে।
তিনি বলেন, ভারত ও পাকিস্তানের পাল্টাপাল্টি হামলার ঘটনা গণমাধ্যম এসেছে। দুই দেশের মধ্যে সৃষ্ট এই পরিস্থিতির কারণে সবার মধ্যে এখন আতঙ্ক বিরাজ করছে। আতঙ্কে অনেক বিনিয়োগকারী কম দামে শেয়ার বিক্রির চেষ্টা করছেন। এ কারণেই লেনদেনের শুরুতে শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন দেখা দিয়েছে। বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কগ্রস্ত হয় শেয়ার বিক্রির চাপ না বাড়ালে বাজার ঘুরে দাঁড়াবে আশা করছি।
এমএএস/এসএনআর/জেআইএম