ইয়েমেনের সানা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হামলা শুরু করেছে ইরসায়েল। বিমানবন্দরটির কাছ থেকে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে।
Advertisement
ইয়েমেনের ইদাহোদেহ বন্দরে হামলার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এই হামলা শুরু করলো ইসরায়েল। ইদাহোদেহ বন্দরে হামলায় অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন।
এর আগে ইসরায়েলের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় ইয়েমেনের হুথি। এতে বিমানবন্দরের একটি গাড়ি ও সড়ক অবকাঠামোর ক্ষয়ক্ষতি হয়।
গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে হামলা চালিয়ে আসা ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরকে ‘আর নিরাপদ নয়’ বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
Advertisement
ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ক্ষেপণাস্ত্রটি বিমানবন্দরের একটি সংযোগ সড়কে আঘাত হানে এবং তার ধ্বংসাবশেষ আশপাশের রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে।
এরপর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, যারা আমাদের আক্রমণ করবে, আমরা তাদের সাতগুণ জবাব দেবো।
ইসরায়েল রেজিলিয়েন্স পার্টির নেতা ও সাবেক যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সদস্য বেনি গ্যান্টজ বলেছিলেন, হামলার জন্য ইরানকেই দায়ী করা উচিত। তিনি বলেন, ইসরায়েল রাষ্ট্রের ওপর ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করছে ইরান, এবং তাদের এর দায় নিতে হবে। তবে তিনি এ দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেননি।
ইসরায়েলের বিরোধী নেতা ইয়াইর গোলান বলেছেন, লাখ মানুষ আবার আশ্রয়কেন্দ্রে, গাজায় বন্দি ইসরায়েলিরা মরছে, জীবনযাত্রার ব্যয় সাধারণ পরিবারকে চূর্ণ করছে এবং রিজার্ভ বাহিনীর সদস্যরা যুদ্ধের ভারে ভেঙে পড়ছে। এগুলো নেতানিয়াহুর জন্য ভালো, সরকারের জন্য ভালো। কিন্তু আমাদের জিম্মিদের ফিরিয়ে আনতে হবে, যুদ্ধের ইতি টানতে হবে।
Advertisement
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল
এমএসএম