দীর্ঘ ১৭ বছর পর যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান। তার এই আগমন ঘিরে এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে ডা. জুবাইদা রহমানের বাসভবন ‘মাহবুব ভবন’র সাজসজ্জা ও প্রস্তুতির কাজ।
Advertisement
মঙ্গলবার (৬ মে) রাজধানী ধানমন্ডির ৫ নম্বর সড়কে অবস্থিত ‘মাহবুব ভবন’ ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান বর্তমানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বাসভবন ফিরোজায় অবস্থান করছেন। ফিরোজা থেকে বের হয়ে তিনি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শ্বাশুড়ি ও তার মা চিকিৎসাধীন সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানুকে দেখতে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে যাবেন এবং সেখান থেকে তিনি তার নিজ বাসভবন মাহবুব ভবনে আসবেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানের আগমন ঘিরে মাহবুব ভবনে রং ও সাজসজ্জা করা হয়েছে। স্থাপন করা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। ভবনের সামনের দেওয়ালটির ওপরে দেওয়া হয়েছে কাঁটাতারের বেষ্টনী। নিরাপত্তার স্বার্থে ভবনটির প্রধান ফটক বন্ধ রাখতে দেখা গেছে। তবে ভেতরে লোকসমাগম ছিল।
Advertisement
এছাড়াও ভবনটির সামনে ও আশেপাশে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়।
দীর্ঘ ১৭ বছর পর মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে কাতারের আমিরের দেওয়া বিশেষ রাজকীয় বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি। ওই বিমানে লন্ডনে প্রায় চার মাস চিকিৎসা শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া। সঙ্গে এসেছেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান।
বাড়িটিতে বর্তমানে ডা. জুবাইদা রহমানের মা সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু এবং বড় বোন শাহীনা জামান ও তার পরিবারের সদস্যরা থাকেন।
১৭ বছর আগে ২০০৮ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারেক রহমানের সঙ্গে দেশ ছেড়েছিলেন জুবাইদা রহমান।
Advertisement
ওয়ান/ইলেভেনের পর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৮ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর তারেক রহমান, জুবাইদা রহমান ও ইকবাল মান্দ বানুর বিরুদ্ধে রাজধানীর কাফরুল থানায় একটি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন। ওই মামলায় জুবাইদা রহমানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও ৩৫ লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেন ঢাকার একটি আদালত।
জুবাইদার বাবা রিয়ার অ্যাডমিরাল মাহবুব আলী খান ১৯৭৮ সালের ৪ নভেম্বর থেকে ১৯৮৪ সালের ৬ অগাস্ট পর্যন্ত বাংলাদেশের নৌবাহিনীর প্রধান ছিলেন। এরপর হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের সরকারের সময় তিনি যোগাযোগ ও কৃষিমন্ত্রী ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক জেনারেল এম এ জি ওসমানী জুবাইদা রহমানের চাচা।
কেআর/এএমএ/এএসএম