জাতীয়

নারীদের কর্মজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নীতি সংস্কার প্রয়োজন

নারীদের কর্মজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে নীতি সংস্কার প্রয়োজন

গণপরিবহন এবং কর্মস্থলে যৌন হয়রানির ব্যাপকতা একটি বড় সমস্যা বলে জানিয়েছেন নারী ও শিশু বিষয়ক এবং সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমিন এস মুরশিদ।

Advertisement

তিনি বলেন, নারীদের কর্মজীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নীতি সংস্কারের প্রয়োজন। আমরা শক্তিশালী নীতি গ্রহণ ও প্রতিটি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় এর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার বিষয়টি পর্যালোচনা করছি।

সোমবার (৫ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে উন্নত ভবিষ্যৎ গড়ার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত এক জাতীয় সংলাপে এসব বলেন তিনি।

শ্রম দিবস উপলক্ষে আইএলও, বাংলাদেশ বিজনেস অ্যান্ড ডিজেবিলিটি নেটওয়ার্ক ও বহ্নিশিখা যৌথভাবে আয়োজিত সংলাপে শ্রমবাজারে অন্তর্ভুক্তির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।

Advertisement

এ সময় বক্তারা, সক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও কেউ যেন কর্মবঞ্চিত না হয় এমন নীতিমালা থাকতে হবে বলে জানান। এছাড়াও প্রয়োজনীয় দক্ষতা, সক্ষমতা ও মনোভাব থাকা সত্ত্বেও কর্মবাজার থেকে কেউ যেন বঞ্চিত না হয় তা লক্ষ্য রাখার আহ্বান জানিয়ে দেশে ন্যায্য নিয়োগ প্রক্রিয়া এবং বৈষম্যবিরোধী পদক্ষেপের মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তি বাড়াতে একটি কার্যকর জাতীয় নীতিমালাও প্রয়োজন বলে জানানো হয়।

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এএইচএম শফিউজ্জামান বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক শ্রমবাজার শুধু একটি উন্নয়ন লক্ষ্য নয়, এটি সবার জন্য মর্যাদা, ন্যায়বিচার এবং সামাজিক ও অর্থনৈতিক ন্যায়বিচারের প্রশ্ন। অন্তর্ভুক্তি কেবল ব্যক্তিদের উপকার করে না, এটি সমগ্র সম্প্রদায় ও অর্থনীতিকেও শক্তিশালী করে।’

শ্রমিক প্রতিনিধি ও ন্যাশনাল কো-অরডিনেশন কমিটি ফর ওয়ার্কার্স এডুকেশন (এনসিসিডব্লিউই) এর চেয়ারম্যান বাদল খান বলেন, কার্যকর অন্তর্ভুক্তি কেবল শ্রম অধিকারের ভিত্তিতেই অর্জন করা সম্ভব; এটি অবশ্যই অন্তর্ভুক্তি এবং সমতার ভিত্তি হতে হবে।

আইএলও বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুমো পোটিআইনেন বলেন, ‘আমরা একত্রিত হয়েছি সব শ্রমিকের, বিশেষ করে যাদের কণ্ঠস্বর প্রায়শই অশ্রুসিক্ত হয়েছে, তাদের ধৈর্য, আকাঙ্ক্ষা ও অধিকার নিয়ে কথা বলতে। বাংলাদেশ যখন জনগণের জন্য একটি নতুন ভবিষ্যতের রূপরেখা গড়ছে, তখন সকল নারী ও পুরুষের জন্য সমান সুযোগের গুরুত্বকে আরও বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।’

Advertisement

বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের ভাইস-প্রেসিডেন্ট তাহমিদ আহমেদ বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে অবশ্যই নীতির বাইরেও যেতে হবে। এটি কর্মক্ষেত্রের সংস্কৃতির অংশ হতে হবে, যা সকল কর্মীকে মর্যাদা এবং সুরক্ষা প্রদান করে। আজ আমরা যে অভিজ্ঞতালব্ধ গল্পগুলো শুনেছি তা আমাদের অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মক্ষেত্র তৈরিতে আরও কিছু করার জন্য অনুপ্রাণিত করে।’

সবশেষ শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সংলাপের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি যৌন হয়রানি এবং নারীদের প্রতি সহিংসতার ক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের ওপর জোর দিয়ে বলেন, এই ধরনের কর্মকাণ্ডের পরিণতি ভয়াবহ হবে।

কেআর/এমআরএম/এমএস