দেশজুড়ে

মুষ্টির চালের টাকায় নির্মিত রাস্তার বাকি অংশ শেষ করলো প্রশাসন

মুষ্টির চালের টাকায় নির্মিত রাস্তার বাকি অংশ শেষ করলো প্রশাসন

জাগো নিউজে সংবাদ প্রকাশের পর মুষ্টির চাল বিক্রির টাকায় নির্মিত রাস্তার অবশিষ্ট অংশ অবশেষে সরকারি অর্থায়নে সম্পন্ন করা হয়েছে। সরকারি অর্থায়নে অবশিষ্ট ১ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ হওয়ায় স্থানীয় লোকজন সাধুবাদ জানিয়েছেন। তবে স্থানীয়রা রাস্তাটি পাকাকরণের দাবি করেন।

Advertisement

রাস্তা নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ায় পর রোববার (৪ মে) বিকেলে দুই উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা ও অন্যান্য কর্মকর্তারা সড়ক পরিদর্শন করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, জেলার মির্জাপুর ও দেলদুয়ার উপজেলার শেষ প্রান্তে দুইটি গ্রাম গবড়া ও ডুবাইল। দুই উপজেলার সীমান্ত হওয়ায় স্বাধীনতার পর থেকে এলাকার উন্নয়নের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউ। এ সড়ক দিয়ে কয়েক গ্রামের হাজারো মানুষ যাতায়াত করে। এ অবস্থায় গত ৫ বছর ধরে স্থানীয় যুব সমাজ ও মুরব্বিরা সাপ্তাহিক মুষ্টির চাল তুলতে থাকেন। পরে সেই চাল বিক্রির ৪ লাখ টাকা এবং স্থানীয়দের দেওয়া আরও ১ লাখ টাকা দিয়ে মাটি ফেলে প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেন। কিন্তু রাস্তা নির্মাণের এক পর্যায়ে সমস্ত টাকা শেষ হয়ে যায়। টাকা শেষ হওয়ার কারণে বাকি কাজ সম্পূর্ণ করতে পারেনি স্থানীয়রা।

উপজেলা শহরের সঙ্গে যোগাযোগের দুই কিলোমিটার দীর্ঘ একমাত্র রাস্তাটির বেহাল দশার কারণে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয় দুই গ্রামের হাজারো মানুষের। বিশেষ করে অসুস্থ হলে রোগীকে নিয়ে যেতে কষ্ট হতো। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে আত্মীয়তা করতেও চাইতো না কেউ। রাস্তার কারণে এলাকার অনেকে বিয়েও করতে পারেননি।

Advertisement

পরে এ নিয়ে জাগো নিউজসহ বিভিন্ন গণমাধ্যম সংবাদ প্রকাশ করে। সংবাদ প্রকাশের পর প্রশাসন নড়েচড়ে বসে। পরবর্তীতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি অর্থায়নে রাস্তার বাকি অংশের ১ কিলোমিটার কাজ সম্পন্ন করেন।

এ ব্যাপারে দেলদুয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বলেন, দেলদুয়ার অংশের প্রায় ১০০০ মিটার মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। আমরা শিগগিরই এলজিইডির মাধ্যমে রাস্তাটির আইডি নির্ধারণ করে ইট সলিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। পরবর্তী সময়ে রাস্তাটি পাকা করার ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমাদের নজরে আসায় জেলা প্রশাসকের নির্দেশনায় আমরা সরকারিভাবে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করেছি। এ নিয়ে দুই উপজেলার কর্মকর্তারা বসেছিলাম।

আব্দুল্লাহ আল নোমান/এফএ/এমএস

Advertisement