প্রথমবারের মতো ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে চলাচল করছে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা। মাত্র ২০ টাকার বিনিময়ে এই দুই যান মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ৭টা থেকে চলাচল করছে।
Advertisement
সরেজমিনে দেখা যায়, এক্সপ্রেসওয়ের সব টোলগুলোতে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার ভিড় রয়েছে। ২০ টাকার বিনিময়ে যানজট এড়াতে এক স্থান থেকে আরেক স্থানে যাচ্ছে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা।
মোটরসাইকেল আরোহী সাজ্জাদ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, তেজগাঁও থেকে এক্সপ্রেসওয়েতে উঠেছি। গন্তব্য উত্তরায়। ২০ টাকায় এভাবে যেতে পেরে ভালো লাগছে। কোন যানজট নেই।
আরেক মোটরসাইকেল আরোহী নাসিম আহমেদ জাগো নিউজকে বলেন, প্রতিদিন কারওয়ান বাজার থেকে বনানী যেতে হয়। আজকের মতো প্রতিদিন যদি এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেলের অনুমতি দেওয়া হতো তাহলে অনেকটা যানজট এড়ানো যেতো।
Advertisement
জাগো নিউজের এই প্রতিবেদক নিজেও তেজগাঁও থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল নিয়ে ওঠেন।
এক্সপ্রেসওয়ের মাঝে মাঝে দেখা যায়, পুলিশ স্পিডগান নিয়ে গতি পরিমাপ করছে। অতিরিক্ত গতিতে চলা মোটরসাইকেলকে জরিমানা করা হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার লন্ডন থেকে দেশে ফেরা উপলক্ষে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) বিশেষ ট্রাফিক নির্দেশনা জারি করেছে। এই নির্দেশনার অংশ হিসেবে, মঙ্গলবার (৬ মে) সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অর্থাৎ মোট ৬ ঘণ্টা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে মোটরসাইকেল ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এজন্য নির্দিষ্ট টোল পরিশোধ করতে হবে।
ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
Advertisement
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ডিএমপির অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেলকে নির্ধারিত টোল পরিশোধপূর্বক সর্বোচ্চ ৪০ কিলোমিটার/ঘণ্টা গতিসীমা মেনে এবং এক্সপ্রেসওয়ের বাম পাশের সেইফ লেন ব্যবহার করে এই সময়সীমার মধ্যে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।
তবে, এক্সপ্রেসওয়েতে দুর্ঘটনা এড়াতে ওভারস্পিড এবং লেন পরিবর্তন করলে আইন প্রয়োগের জন্য পর্যাপ্ত ট্রাফিক পুলিশ মোতায়েন থাকবে বলেও ডিএমপি জানায়।
টিটি/এসএনআর/জেআইএম