দেশজুড়ে

নিষেধাজ্ঞা শেষেও চাল পায়নি লক্ষ্মীপুরের ২৮ হাজার জেলে

নিষেধাজ্ঞা শেষেও চাল পায়নি লক্ষ্মীপুরের ২৮ হাজার জেলে

নিষেধাজ্ঞা শেষ হলেও সরকারি চাল পায়নি লক্ষ্মীপুরের ২৮ হাজার জেলে। এ নিয়ে জেলেদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। মার্চ-এপ্রিল মেঘনা নদীতে মাছ ধরার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা ছিল।

Advertisement

জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্র জানায়, জেলায় নিবন্ধিত ৩৮ হাজার ৫৭৫ জন জেলে রয়েছে। এরমধ্যে নিষেধাজ্ঞাকালীন খাদ্য সহায়তার চাল পাবেন ২৮ হাজার ৩৪৪ জন জেলে। তারা দুই ধাপে ৮০ কেজি করে ১৬০ কেজি চাল বরাদ্দ পাবেন। এর মধ্যে মার্চে প্রথম ধাপের চাল বিতরণ করা হলেও দ্বিতীয় ধাপেরটি এখনো বরাদ্দ আসেনি। যদিও ৩০ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়। তবে বেসরকারি হিসেবে লক্ষ্মীপুরে ৬০ হাজার জেলে রয়েছে।

ওই সূত্র জানায়, নিষেধাজ্ঞাকালে জেলায় ২৭৬টি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এতে ৩২টি মামলায় ৯৪ জন জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারা ও অর্থদণ্ড দিয়ে ২ লাখ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ সময় ২০ লাখ মিটার জাল, ৬৪টি মাছ শিকারি নৌকা ও দেড় টন মাছ জব্দ করা হয়।

করাতিরহাট এলাকার জেলে বাদশা মিয়া বলেন, নদীতে গিয়ে জ্বালানি তেলের খরচও উঠে না, ইলিশ নেই। জালে ছোট দুই-একটি ইলিশ ধরা পড়ে। কিছু পাঙাশের পোনা, ছোট পোয়া ও ট্যাংরা মাছ পাওয়া যায়। সব জেলে চাল পায় না। মেম্বারদের খরচ দিলে তালিকা নাম দেয়।

Advertisement

সদরের চররমনী মোহন গ্রামের জেলে ইব্রাহিম হোসেন বলেন, আমরা মাছ ধরা ছাড়া অন্য কাজ করতে পারি না। নিষেধাজ্ঞার সময়ের জন্য সরকার ৮০ কেজি চাল দেয়। এখনো পুরোটা পাইনি।

লক্ষ্মীপুর জেলে ফেডারেশনের সভাপতি মোস্তফা বেপারী বলেন, নিষেধাজ্ঞার দুই মাস ঘিরে ৪ মাসের জন্য দুইবারে সরকার চাল দেয়। কিন্তু এখনো দ্বিতীয় ধাপের চাল আসেনি। এতে জেলেরা পরিবার পরিজন নিয়ে অসহনীয় কষ্টে দিন কাটাচ্ছে।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন বলেন, জেলেদের দ্বিতীয় ধাপের চাল এখনো বরাদ্দ আসেনি। আসলে দ্রুত তা বিতরণ করে দেবো। বিগত সময়ে নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়ে বরাদ্দের চাল আসতো। এবার মন্ত্রণালয় থেকে এখনো বরাদ্দ দেওয়া হয়নি।

কাজল কায়েস/আরএইচ/জেআইএম

Advertisement