যে বাংলা সিনেমা নিয়ে হতাশায় ডুবতে বসেছিল ঢালিউড, সে এখন আশা দেখাচ্ছে। ভরসার হাতছানি দিচ্ছে সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক, শিল্পী, কলাকুশলী ও দর্শকদের। চলতি বছরের ঈদুল ফিতরে ৭৫ কোটি টাকায় বিকিয়েছে বাংলা ছবির টিকিট! অঙ্কটি অবিশ্বাস্য।
Advertisement
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো প্রদর্শনীর মাস পেরিয়েছে। এখনও দর্শকের দেখা শেষ হয়নি বলে হল থেকে নামেনি ছবিগুলো। জেলা শহরগুলোর একপর্দার কোনো কোনো হল থেকে শোনা গেছে মাঝরাতে শো চালানোর খবরও। বিশেষ ব্যবস্থায় অনেক উপজেলায় চলেছে সিনেমাগুলো। বিশেষ করে শাকিব খানের ‘বরবাদ’ ছিল আগ্রহের শীর্ষে। এরপর সিয়ামের ‘জংলি’, নিশোর ‘দাগি’, ও মোশাররফ করিমের ‘চক্কর ৩০২’।
মাসপূর্তিতে ঈদে মুক্তি পাওয়া ছয় ছবির ৩০ দিনের বিক্রির হিসাব আসতে শুরু করেছে। যদিও ব্যবসা করেছে ৪টি ছবি। জানা গেছে মোট টিকিট বিক্রি হয়েছে ৭৫ কোটি টাকার। যদিও এ হিসাব আক্ষরিক নয়। কারণ দেশে এখনও গড়ে ওঠেনি ‘বক্স অফিস’ ব্যবস্থা। গত সোমবার পর্যন্ত চার ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ও পরিচালকের কাছ থেকে পাওয়া টিকিট বিক্রির হিসাব বলছে, মুক্তির ২৫ দিন পর্যন্ত শাকিব খান অভিনীত মেহেদী হাসানের ‘বরবাদ’ ছবির টিকিট বিক্রি হয়েছে ৬২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার। আফরান নিশো অভিনীত শিহাব শাহীনের ‘দাগি’র রোববার পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয়েছে ৭ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সোমবার পর্যন্ত সিয়াম আহমেদ অভিনীত এম রাহিমের ‘জংলি’র টিকিট বিক্রি হয়েছে ৪ কোটি ৫ লাখ টাকা। মোশাররফ করিম অভিনীত শরাফ আহমেদ জীবনের ‘চক্কর ৩০২’ ছবির টিকিট বিক্রি হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টাকার বেশি।
ব্যয়ের তুলনায় এই বিক্রি নিয়ে সন্তুষ্ট নির্মাতারা। তাদের স্বপ্ন, এ তো কেবল শুরু, সামনে আরও ভালো সময় অপেক্ষা করছে। যদিও বেশ কয়েকটি সাক্ষাৎকারে হতাশার স্বর শোনা গেছে বরবাদ প্রযোজকের। অনেক জায়গা থেকে এখনও টাকা তুলতে পারছেন না তিনি। অনেক হলের কালেকশন নিয়ে সন্দিহান। প্রযোজক ও পরিচালক সূত্রে জানা গেছে, বরবাদ ১৫ কোটি, দাগি ৪ কোটি, জংলি পৌনে ৩ কোটি ও চক্কর ৩০২ পৌনে ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে। প্রযোজক-পরিচালকদের কেউ কেউ দর্শকের চাহিদার পাশাপাশি টিকিট বিক্রির পরিমাণ নিয়ে বেশ সন্তুষ্ট।
Advertisement
ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাওয়া চারটি ছবি এখনো দেশের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে। চতুর্থ সপ্তাহেও দেশের ৭২ প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শিত হচ্ছে ‘বরবাদ’, ২৭ প্রেক্ষাগৃহে ‘জংলি’ আর ১২ প্রেক্ষাগৃহে ‘দাগি’ দেখানো হচ্ছে। দেশের বাইরেও মুক্তি পেয়েছে এগুলোর তিন সিনেমা।
এমআই/আরএমডি/জিকেএস