রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদের বাসায় ককটেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে।
Advertisement
বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে তার বাসায় ৪-৫ টি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
ঘটনার পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনার পরপরই স্যার আমাকে কল দিয়েছিলেন। আমি উনাকে বাসা থেকে বের হতে মানা করেছি। পরে পুলিশ এলে তারা বের হয়। তার বাসায় অসুস্থ বাবা, ছোট ছোট বাচ্চা ছিল। তারা সবাই ভীত হয়ে পড়ে। তবে তারা সবাই সুস্থ আছে। তার নিরাপত্তার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে।
Advertisement
সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার লিখেছেন, আমাদের জুলাই আন্দোলনের সহযোদ্ধা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্যারের বাসায় ককটেল ফাটিয়ে প্রমাণ করলো এই শহর আমাদের জন্য কতোটা অনিরাপদ। স্যার আফসোস করে বলছিলেন ছোট থেকে এখানে বেড়ে উঠলাম, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে কথা বলতাম তখনও কেউ এই সাহস পায়নি আর এখন এই ঘটনা ঘটলো। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তির সঙ্গে এমন হলে শিক্ষার্থীদের জন্য কতটা অনিরাপদ এই শহর।
উপ উপাচার্য (শিক্ষা) ফরিদ উদ্দীন খান লিখেছেন, তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি! ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে কিন্তু যেয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে! গতকালই উনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে বাসায় ফিরেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের নিজ বাড়িতে রাতের আধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে! আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।
উপাচার্য সালেহ্ হাসান নকীব লিখেছেন, এই প্রশাসন একটা টিম। এখানে কারো উপর অন্যায় আঘাত, সকলের উপর আঘাত। আমরা এই স্প্রিট ধারণ করি। প্রফেসর ইফতিখার মাসউদের বাসভবনের গেটে ককটেল ছোড়া হয়েছে - কথাটি ঠিক নয়। সরাসরি তার বাসায় ছোড়া হয়েছে। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি হয়ে গেছে। শাস্তি পেতে হবে।
তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রেজিস্ট্রার ইফতেখারুল আলম মাসউদকে একাধিকবার কল দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি।
Advertisement
মনির হোসেন মাহিন/এএইচ/জিকেএস